শীত-গ্রীষ্ম সর্বদাই গরম জলে স্নান করা শ্রেয়। পেশী টানের সমস্যা থেরে সর্দি-কাশি হওয়ার সমস্যা কেটে যায়। পাশাপাশি হালকা গরম জলে স্নান করলে শরীর ঝরঝরে লাগে
এমন অনেকেই আছে যারা শীতকালে গরম জলে স্থান করে। কিন্তু গরমকালে বা গ্রীষ্মকালে ভুলেও গরম জলে স্নান করে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথায় শীত-গ্রীষ্ম সর্বদাই গরম জলে স্নান করা শ্রেয়। পেশী টানের সমস্যা থেরে সর্দি-কাশি হওয়ার সমস্যা কেটে যায়। পাশাপাশি হালকা গরম জলে স্নান করলে শরীর ঝরঝরে লাগে তাই শীত হোক বা গ্রীষ্ম যে কোনও সময়েই হালকা গরম জলে স্নান করতে পারেন।
পেশী টান
গরম জলে স্নান করলে পেশী টানের সমস্যা থাকে না। এটি জীবনধারা সক্রিয় করে দেয়। কারণ পেশী ক্রমাগত কাজ করে তাই এটিরও আরাম প্রয়োজন- তা দেয় গরম জল। পেশীতে ব্যাথা কমাতে পারে গরম জলে স্থান। এটি অনেক বেশি আরামদায়েকও।
রক্ত চলাচল
গরম জলে স্নান রক্তচলাচল উন্নত করতে পারে। রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধির করতে সাহায্য করে। যে কোনও ব্যাথা কমাতে পারে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় গরম জলে স্নানষ এই প্রক্রিয়া ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত রক্ত সঞ্চালন ত্বকের কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়
গরম জলে স্নান মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। জলের উত্তাপ স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে। যা চাপ আর উদ্বেগ কমায়। মৃদু গরম জলে স্নান তাই ঠান্ডা জলে স্নানের থেকে অনেক আরামদায়ক।
ঘুমাতে সাহায্য করে
যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই গরম জলে স্থান করা জরুরি। ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম জলে স্নান শতীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে। যা শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করে। মন শান্ত করে, বিশ্রামের জন্য পুরোপরি তৈরি হয়ে যায় শরীর।
ঠান্ডার উপসর্গ থেকে মুক্তি দেয়
যাদের সর্দিকাশির সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই গরম জলে স্নান করা শ্রেয়। কারণ সর্দিকাশি, ফ্লু, ভাইরাসের আক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীর কঠোর পরিশ্রম করে। তাই যাদের এই সমস্যা থাকে তাদের অবশ্যই নিত্যদিনই গরম জলে স্থান করা জরুরি। গরম জলে স্থান শরীরের অস্বস্তি কাটিয়ে দিতে পারে। শরীর স্বাভাবিক রাখে।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন কখনই অত্যাধিক গরম জলে স্থান করা ঠিক নয়। তাহলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা যায়। অত্যাধিক গরম জলে স্নান শরীর গরম করে, অস্বস্তি বাড়ায়। ঘুম কমিয়ে দেয়। তাই হালকা গরম জলে স্থানই শ্রেয়।