এবার গরমে ডায়াবেটিকরাও আম খেতে পারবেন, শুধু মানতে হবে কিছু নিয়ম

Published : May 13, 2025, 04:38 PM IST
mango cutting tricks

সংক্ষিপ্ত

ডায়াবেটিকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আম মিষ্টি জাতীয় ফল বলে এড়িয়ে চলেন। তবে নিয়ন্ত্রিতভাবে আম খাওয়া নিরাপদ। করিনা কাপুরের পুষ্টিবিদ অন্তত সেই সুখবরই নিয়ে এলেন ডায়াবেটিকদের জন্য।

গ্রীষ্ম মানেই আমের মরশুম। রসালো, গন্ধ ও স্বাদে ভরপুর এই ফলটি প্রায় সবারই প্রিয়। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই চিন্তায় থাকেন তারা আম খেতে পারবেন কিনা? আমে প্রাকৃতিক শর্করা থাকার কারণে অনেকেই মনে করেন এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য একেবারেই নিষিদ্ধ। তবে সুখবর, পুষ্টিবিডেরা বলছেন সঠিক উপায়ে এবং পরিমাণ মেনে আম খেলে ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারবেন আম, সাথে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ডায়াবেটিসে কেন সতর্কতা দরকার?

আমে প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুক্টোস) রয়েছে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই যাদের ইনসুলিন রেসিসটেন্স আছে বা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য আম খাওয়ার পরিমাণ হিসাবে রাখা জরুরি।

করিনা কাপুরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকার ডায়াবেটিক ও ওজন ঝরানোর সমস্যায় আম খাওয়া নিয়ে আশা দেখিয়েছেন ভুক্তভুগিদের। তার দাবি, টাটকা আম খেলে ওজন বেড়ে যায় অথবা ডায়াবিটিসের রোগীদের সমস্যা হয়, এমন দাবির কোনও প্রমাণ নেই এখনও পর্যন্ত। বরং আমের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং পলিফেনল। যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ডায়াবেটিকরা কীভাবে আম খেতে পারেন?

পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকার বলেন, খাওয়ার আগে আমটিকে আধ ঘণ্টা মতো জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। গরমে রোজ একটি করে আম খাওয়া আসলে স্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাস।

১. পরিমাণে খেয়াল রাখুন : দিনে অর্ধেক বা এক ছোট পিস আম খাওয়া নিরাপদ। পুরো আম না খাওয়াই ভালো।

২. সকাল বা দুপুরে খাওয়া যেতে পারে : সকালে বা দুপুরে খাবারের সঙ্গে আম খেলে শরীর সহজে গ্লুকোজ শোষণ করতে পারে। তবে রাতে আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন অবশ্যই।

৩. খালি পেটে খাবেন না : খাওয়ার পর একটু হাঁটা বা হালকা এক্সারসাইজ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

৪. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জেনে রাখুন : আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি পর্যায়ে (৫০-৬০)। তাই কার্বোহাইড্রেট ও শর্করা যুক্ত খাবার বাদ দিয়ে আম খেলে গ্লুকোজ লেভেল বাড়বে না অতিরিক্তভাবে।

নিয়ম মানে আম খেলে ওজন ও বাড়ে না - কেন?

সঠিক সময় ও সঠিক পরিমাণে আম খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে জমার পরিস্থিতি তৈরি হয় না। বরং এতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরাট রাখে, ফলে বার বার খাওয়া বা বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। ওজন এমনিতেই নিয়ন্ত্রিত থাকে।

PREV
click me!

Recommended Stories

রাতে শুধু এক চামচ খেলেই হবে চমৎকার, ৮০ ধরনের বাত রোগ থেকে পাবে মুক্তি
২০২৫-এ সস্তা হল ক্যান্সার রোগের এই ওষুধগুলো, এক ক্লিকে জেনে নিন বিস্তারিত