
Quinoa Nutrition Facts and Health Benefits: 'কিনোয়া' নামটা এখনও অনেকের কাছেই অচেনা, তবে স্বাস্থ্য সচেতন আধুনিক বাঙালির খাবারের তালিকায় এটি ধীরে ধীরে জায়গা পাচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতমালায় জন্ম এই দানাশস্য আজ বিশ্বজুড়ে সুপারফুড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই কিনোয়া একাধারে প্রোটিনসমৃদ্ধ, ফাইবারে পূর্ণ, গ্লুটেন-মুক্ত এবং সহজপাচ্য। যাXরা সুস্থ থাকতে চান বা ওজন কমাতে আগ্রহী, তাঁদের ডায়েটে কিনোয়া একটি কার্যকর উপাদান। বিদেশ থেকে আমদানি হওয়ায় এর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে পরিমাণে কম খেলেও উপকারিতা অনেক।
সম্পূর্ণ প্রোটিনের উৎস
কিনোয়া এমন একটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যা সমস্ত ৯টি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড ধারণ করে। সাধারণত উদ্ভিজ্জ উৎসে এমন পূর্ণাঙ্গ প্রোটিন বিরল।
ফাইবার সমৃদ্ধ
ফাইবার হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখে। ফলে যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য কিনোয়া খুবই উপযোগী।
রক্ত ও হৃদযন্ত্রের যত্নে
কিনোয়ায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়ক।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী
কিনোয়ার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেয় না।
গ্লুটেন-মুক্ত
যাঁদের গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে বা সেলিয়াক ডিজিজে ভুগছেন, তাঁদের জন্য কিনোয়া এক নিরাপদ পছন্দ।
কিনোয়া খেতে কিন্তু আমাদের চাল বা ডালের মতো নয়। একটু কিছুটা ছিবড়ে হয় খেতে গেলে। তবে এটি রান্নায় বিশেষ ঝক্কি নেই। ভাতের মতো ফুটিয়ে নিলেই হয়। আবার স্যালাড, খিচুড়ি বা স্যুপে মিশিয়েও খাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যসচেতন। অনেকেই মনে করেন, খাবার থেকেই শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। এই কারণে খাবারকে অনেকে ওষুধ হিসেবে দেখেন। তাঁদের কাছে বিকল্প খাবার হয়ে উঠতে পারে কিনোয়া। সুস্থ থাকার জন্য এই দানাশস্য খাওয়া যেতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।