দাঁতের মাড়ির কাছে বা দাঁতের মাঝখানে হলুদ বা সাদা ছোপ হিসাবে জমা হয়। যদি এটি পরিষ্কার করার যত্ন নেওয়া না হয় তবে এটি ভবিষ্যতে ধূসর বা কালো হয়ে যেতে পারে।
Oral Care: ব্যস্ত জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ যত্ন না নেওয়ার কারণে দাঁতে প্লাক এবং টারটার একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টারটার বা ক্যালকুলাস আসলে প্লাক, যা দাঁতের মাড়ির কাছে বা দাঁতের মাঝখানে হলুদ বা সাদা ছোপ হিসাবে জমা হয়। যদি এটি পরিষ্কার করার যত্ন নেওয়া না হয় তবে এটি ভবিষ্যতে ধূসর বা কালো হয়ে যেতে পারে।
সঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কারের অভাবে এমনটা হওয়ার কথা নয়। খাবারে পুষ্টির অভাব বা সংক্রমণের কারণে যাদের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে তারা প্রায়ই এই সমস্যায় ভোগেন। যদি আপনি এটি উপেক্ষা করেন তবে ভবিষ্যতে এটি ডায়াবেটিস, করোনারি রোগ ইত্যাদির কারণ হতে পারে। জেনে নিন কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে আপনি এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন।
দাঁতের প্লাক এবং টারটার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া প্রতিকার-
অ্যালোভেরা-
অ্যালোভেরা জেল আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক, চুলের পাশাপাশি দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। অ্যালোভেরার সঙ্গে গ্লিসারিন ব্যবহার করে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য একটি কাপে বেকিং সোডা, অ্যালোভেরা জেল, লেবু এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে তা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন।
কমলার খোসা-
কমলার অম্লীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনাকে সহজেই টারটার এবং প্লাকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। এর জন্য কমলার খোসা নিয়ে দাঁতে আলতো করে ঘষুন। এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এই পরে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে।
টমেটো-
স্ট্রবেরি এবং টমেটোর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও কাজ করে, তাই তারা সহজেই টার্টারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। এজন্য টমেটো ও স্ট্রবেরির পাল্প বের করে নিন। এরপর এটি দাঁতে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুবার করুন।
তিলের বীজ-
তিলের বীজ বা তেলও দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। দাঁত পরিষ্কার করতে একমুঠো তিল খান এবং চিবিয়ে খেতে থাকুন। এরপর ব্রাশের সাহায্যে দাঁত পরিষ্কার করুন। এই পরে ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন তিল যেন গিলে ফেলা না হয়। এটি দাঁত স্ক্রাবের কাজ করবে।
ভিনেগার-
এটি প্লাক অপসারণের একটি প্রাকৃতিক উপায়। এজন্য একটি গ্লাসে জলে এক চামচ ভিনেগার মিশিয়ে গার্গল করুন। এতে আপনি সুবিধা পাবেন। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুবার এটি ব্যবহার করুন।