
সর্দি সাধারণত নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়া, চোখ দিয়ে জল পড়া, হাঁচি, গলা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ সৃষ্টি করে। সর্দি দীর্ঘস্থায়ী হলে তা সাইনাসে পরিণত হতে পারে। তাই সঠিক সময়ে এটি সনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। কখনও কখনও অ্যালার্জির কারণেও সাইনাস হতে পারে। সর্দি এবং সাইনাসের উপসর্গগুলি অনেক সময় একই রকম হতে পারে। তবে সাইনাস সর্দির তুলনায় বেশি দিন স্থায়ী হয় এবং এর উপসর্গগুলিও তীব্র হয়। তাহলে এবার সর্দি এবং সাইনাসের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সর্দি এবং এর উপসর্গ:
- সর্দি হলো ভাইরাসজনিত সংক্রমণ যা শ্বাসযন্ত্রকে আক্রান্ত করে। এই সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করার কয়েক ঘন্টা পরে এর উপসর্গগুলি দেখা দিতে শুরু করে।
- হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, কাশি, হালকা জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া ইত্যাদি এর উপসর্গ।
- এটি সাধারণত এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে আপনাআপনি সেরে যায়।
- চিকিৎসা ছাড়াই এই উপসর্গগুলি থেকে উপশম পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ওষুধই যথেষ্ট।
সাইনাস এবং এর উপসর্গ:
- সাইনাস হলো সাইনাস গহ্বরে প্রদাহ বা সংক্রমণ। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালার্জির কারণে হতে পারে।
- নাক বন্ধ, হলুদ বা সবুজ রঙের সর্দি, জ্বর, ক্লান্তি, চোখ, গাল এবং কপালের চারপাশে মুখে ব্যথা বা চাপ, মাথা নিচু করলে তীব্র মাথাব্যথা, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস ইত্যাদি এর উপসর্গ।
- সাইনাস সংক্রমণ কখনও কখনও জ্বর এবং অতিরিক্ত সর্দি সৃষ্টি করতে পারে।
- সাধারণত সাইনাস সর্দির তুলনায় বেশি দিন স্থায়ী হয়। তীব্র সাইনাস কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী সাইনাস দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে। এর জন্য অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন।
চিকিৎসা:
সর্দি - বাষ্প নেওয়া, বিশ্রাম, তরল খাবার, নাকের স্প্রে এবং উপসর্গ উপশমের জন্য ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
সাইনাস - ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।
কখন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?
নিচের কিছু উপসর্গ অনুভব করলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- কোনও উন্নতি ছাড়াই দশ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
- তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, নাক বন্ধ, মুখে তীব্র ব্যথা বা চাপ, সবুজ বা হলুদ রঙের সর্দি, শ্বাসকষ্ট, চোখের চারপাশে ফোলাভাব বা দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন হলে