
Health News: শীতকালে অবসাদ বা স্যাডনেস (Seasonal Affective Disorder - SAD) একটি সাধারণ সমস্যা। যা মূলত দিনের আলো কমে যাওয়া ও ভিটামিন D-এর অভাবে হয়; মন ভালো রাখতে কেক-চকোলেটের বদলে সূর্যের আলোয় সময় কাটান, দেখবেন মন অনেকটা ভালো হয়ে যাবে।
ভিটামিন D-সমৃদ্ধ খাবার (মাছ, ডিম) খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সামাজিক মেলামেশা বাড়ান, হালকা গরম ও উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরুন, প্রকৃতির কাছাকাছি থাকুন, এবং মন ভালো করা 'হ্যাপি হরমোন' (সেরোটোনিন, ডোপামিন) বাড়াতে পছন্দের শখ বা কাজ করুন; প্রয়োজন হলে পেশাদার সাহায্য নিন, কারণ সুস্থ জীবনযাত্রাই অবসাদের বিরুদ্ধে সেরা দাওয়াই।
শীতকালে সূর্যের আলো কমে গেলে আমাদের মস্তিষ্কের 'সেরোটোনিন' নামক রাসায়নিকের নিঃসরণ কমে যায়, যা মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে ক্লান্তি, মন খারাপ, ঘুম বেশি হওয়া বা কম খাওয়া, মনোযোগের অভাবের মতো লক্ষণ দেখা দেয়, যা 'শীতকালীন বিষণ্ণতা' বা Seasonal Affective Disorder (SAD) নামে পরিচিত। এর জন্য কয়েকটি উপায় করবেন। যেমন:
* কেক-চকোলেটের বদলে যা করবেন:
১. সূর্যের আলো (Light Therapy): দিনের বেলায়, বিশেষত সকালে, কিছুক্ষণ বাইরে বের হন। সূর্যের আলো সরাসরি ত্বকে বা চোখে পড়লে ভিটামিন D তৈরি হয় ও সেরোটোনিন বাড়ে।
২. ভিটামিন D সমৃদ্ধ খাবার: তৈলাক্ত মাছ (স্যালমন, টুনা), ডিমের কুসুম, ফোর্টিফায়েড সিরিয়াল ও দুধ খান। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট নিন।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম (হাঁটা, যোগা, সাইক্লিং) করলে এন্ডোরফিন (Endorphins) হরমোন নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিক 'ফিল-গুড' হরমোন।
৪. সামাজিক সংযোগ: বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন, আড্ডা দিন। বিচ্ছিন্নতা বাড়ালে অবসাদ বাড়ে।
৫. শখের চর্চা: বই পড়া, গান শোনা, ছবি আঁকা, বাগান করা বা নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। এটি মনকে ব্যস্ত রাখে ও আনন্দ দেয়।
৬. আর্দ্রতা ও উষ্ণতা: ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করুন। হালকা গরম ও উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরুন, যা মনকে সতেজ রাখে।
৭. প্রকৃতির কাছাকাছি: পার্কে বা সবুজে ভরা জায়গায় হাঁটুন। প্রকৃতির দৃশ্য মনকে শান্ত ও উৎফুল্ল করে।
৮. পর্যাপ্ত ঘুম: রুটিন মেনে ঘুমানোর চেষ্টা করুন, কিন্তু অতিরিক্ত ঘুম এড়িয়ে চলুন।
৯. সুষম খাদ্য: জাঙ্ক ফুড ও অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফল, সবজি ও গোটা শস্য খান।
১০. মনোযোগের অনুশীলন (Mindfulness): মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
** কখন পেশাদার সাহায্য নেবেন?
যদি অবসাদ তীব্র হয়, দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটায় বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে উন্নতি না হয়, তাহলে একজন মনোবিজ্ঞানী বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। থেরাপি বা প্রয়োজনে ওষুধ অবসাদ কাটাতে সাহায্য করতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।