শরীরে কীভাবে থাবা বসায় করোনা, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

  • বর্তমানে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস
  • ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে এই মারণ রোগ
  • এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২৭৪২
  • ভারতে এই মুহূর্ত অবধি আক্রান্তের সংখ্যা ১২৯

গোটা বিশ্বের কাছে বর্তমানে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। ইতিমধ্যেই এই রোগকে মহামারি বলে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিনে এই রোগের উৎপত্তি হলেও ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে এই মারণ রোগ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২৭৪২। সেই সঙ্গে ভারতে এই মুহূর্ত অবধি আক্রান্তের সংখ্যা ১২৯। এই মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য একাধিক সচেতনা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে 'হু'।

আরও পড়ুন- করোনা আতঙ্ক, মাছ কেনার আগেও অবশ্যই পরখ করবেন এই বিষয়গুলি

Latest Videos

বর্তমানে এই বিশ্ব মহামারি-কে রুখতে নানান সতর্কতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা করেছে সরকার। সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা এই ভাইরাস রোধ করার প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কারের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মারন ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ার কারণেই আরও বিভ্রান্তিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। কীভাবে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে কাজ করে সেই বিষয়ে ন্যাশভিল-এর ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম শ্যাফনার জানিয়েছেন, মানুষের হাঁচি কাশির থেকে নির্গত জীবানু বাতাসে মিশে যায়। এই জীবানু অন্যের শরীরে নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। 

আরও পড়ুন- লং গাউন পড়ে ভল্ট থেকে শুরু করে ওয়েট লিফটিং, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও

এই জীবানু শরীরে প্রবেশ করার পরেই নাসারন্ধ্রের পিছনে গলার ভিতরে প্রবেশ করে মিউকাস মেমব্রেনের কোষকে আহত করে। এরপরেই আক্রান্তের শরীরের কোষের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকে এই ভাইরাসের উপর। এইভাবে শরীরের বিপাক ক্রিয়া থেকে কোষের নিয়ন্ত্রণ যাবতীয়ই থাকে কোভিড-১৯-এর হাতে। এইভাবেই শরীরে এই ভাইরাস নিজের বৃদ্ধি ঘটায়। গলার থেকে প্রথমে এই ভাইরাস ফুসফুসে প্রবেশ করে তা মিউকাস মেমব্রেনে আঘাত হানে। এর ফলেই আক্রান্তের শরীরে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে কাশি গলাব্যাথা শুরু হয়। 

অ্যালভিওলাই ও ফুসফুসের থলিগুলির ক্ষতি করে নোবেল করোনা ভাইরাস। এর ফলেই ফুসফুসের চারপাশে এক পাতলা আস্তরণ দেখা যায়। এই আস্তরণ শ্বাস প্রস্বাসের সংক্রমণের জন্যই হয়। ফুসফুস হয়ে এই ভাইরাস পায়ুদ্বার অবধি পৌঁছে যায়। তবে শরীরের যে কোনও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। এর ফলে অস্থিমজ্জা এবং লিভারের অংশও ক্রমশ ফুলে উঠতে থাকে। শরীরে তার প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে থাকে। ভাইরাস সার্স ও কোবিড এর আংশিক মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি
Bangla News : সুকান্তকে বাধা, বেলডাঙা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি | Asianet News Bangla
‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
বাগদায় ফের চলল বুলডোজার! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি দোকান | Bagdah News
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today