বলা হয়, সাঁতার হল এমন একটি ব্য়ায়াম, যার সৌজন্য়ে শরীরের সবকটা অঙ্গপ্রত্য়ঙ্গ সচল থাকে। মনে করা হয়, সব ব্য়ায়ামের সেরা ব্য়ায়াম হল সাঁতার। পায়ের বাত থেকে শুরু করে পিঠের ব্য়থা, হাজার-একটা সমস্য়ায় সাঁতারই আমাদের ভরসা। এমনকি মনকে চাঙ্গা রাখতেও সাঁতারের জুড়ি মেলা ভার।
আজকের দিনে মেদ বহুলতা বা ওবেসিটির সমস্য়া দুনিয়াজুড়ে যখন এক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে, তখন সাঁতারের চেয়ে ভাল ব্য়ায়াম সত্য়িই আর কিছু হয় না। মেদ ঝরাতে সাঁতারের পরামর্শ দেওয়া হয়। অর্থোপেডিক সমস্য়ায় ডাক্তাররা সাঁতারের পরামর্শ দেন। এমনকি বেশ কিছু শ্বাসজনিত সমস্য়াতেও সাঁতার কাটতে বলেন চিকিৎসকরা। তাই গরম পড়ছে, এবার সাঁতারে যান। কাছেপিঠের যে কোনও সুইমিং পুলেই যেতে পারেন। কোনও সমস্য়া নেই। পারলে, ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সাঁতারে নামুন। দেখবেন, সবকিছু কেমন যেন অন্য়রকম লাগছে।
সাঁতার কাটার অনেক গুণ রয়েছে। তা বলে শেষ করা যায় না। তবু দু-একটা বলা যাক এখানে।
আগেই বলেছি, অর্থোপেডিকরা সাঁতার কাটার পরামর্শ দেন এখন। হাঁটু ও পায়ের ব্য়থা সারাতে সাঁতারের কোনও বিকল্প নেই। তাই আপনার যদি এই সমস্য়া থাকে, তাহলে সাঁতার কাটুন। উপকার পাবেন।
সাঁতারে হার্ট ও ফুসফুস খুব ভাল থাকে। তাই আপনার কোনও সমস্য়া থাক বা না-থাক, নিয়মিত সাঁতার কাটুন। মনে রাখবেন, হাঁপানির রোগেও সাঁতার খুব ভাল কাজ করে।
যাঁরা সাইনাসের ব্য়থায় ভোগেন, তাঁরাও কিন্তু সাঁতার কেটে দেখতে পারেন। খুব উপকার পাবেন।
সাঁতার শরীরের বিভিন্ন পেশীকে নমনীয় রাখে। সাঁতারে শরীরের প্রত্য়েকটা অঙ্গ প্রত্য়ঙ্গ সচল থাকে।
সাঁতারে বাড়তি মেদ ঝরে যায়। ফলে ওবেসিটির সমস্য়া থাকলে সাঁতার কাটুন। একশো শতাংশ উপকার পাবেন।
আর সবশেষে বলি, সাঁতারে আমাদের শরীরের গুড হরমোন ক্ষরণ হয়। ফলে স্ট্রেস দূর হয়। মন চাঙ্গা থাকে। গা-ঝাড়া দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা কাজ করে সাঁতারে।