শীত আসা মানেই বিয়েবাড়ি, পার্টি, বেড়াতে যাওয়া, আড্ডা এইসব লেগেই রয়েছে। আর অনুষ্ঠান মানেই সাজগোজের পালা। বিয়েবাড়ি হোক বা ঘরোয়া কোনও অনুষ্ঠান সকলের ভিড়ের মাঝে আলাদা করে নজর কাড়া কিন্তু মাস্ট। কিন্তু সাজগোজ ঠিকমতো হলেও চুল নিয়ে অনেকেরই একটা সমস্যা থেকে যায়। কোন পোশাকের সঙ্গে কী চুল বাধব এই নিয়েই হাজারো চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। আর যদি চুল কোঁকড়ানো হয় তাহলে তো কোনও কথাই নেই। কিন্তু এই কোঁকড়ানো চুল দিয়ে আপনি হয়ে উঠতে পারেন পার্টির মধ্যমণি। গাঢ় মেক আপ, জমকালো পোশাক না পরে হালকা সাজের মধ্যে চুলটাকে নিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করলেই লুকটা দেখবেন কেমন বদলে গেছে। আর এই চুলের সাজই সকলের মধ্যে আপনাকে নজর কাড়বে।
আরও পড়ুন-কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান ডিহাইড্রেশনের শিকার, রইল কয়েকটি উপায়...
হাজারো ব্যস্ততার মাঝে চুলের যত্ন নেওয়া আর হয়ে ওঠে না। কিন্তু এই চুলই আপনাকে আলাদা একটা লুক দেবে। তার জন্য দরকার প্রপার যত্ন। যাদের কোঁকড়ানো চুল তারা রাতে শোবার সময় চুলে একটি স্কার্ফ বেধে শোবেন, এতে চুলের ডগা ঘষা খাবে না , এবং চুলও ফাটবে না। কোঁকড়ানো চুল খুব তাড়াতাড়ি ফেটে যায়। আর ওই চুল তখন ছাড়াও যায় না। তাই নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করলে অনায়াসেই আপনি যেমন খুশি ভাবে চুলকে বাঁধতে পারবেন।
আরও পড়ুন-শীতকালীন কিছু সমস্যা ও তার সহজ সমাধান...
লং ড্রেসর সঙ্গ সাইড থেকে বিনুনি করে একটা ব্রোঞ্জ লাগিয়ে দিয়ে বাকী চুলটা ছেড়ে দিতে পারেন। দারুন দেখতে লাগবে। শাড়ির সঙ্গে অনায়াসেই একটি বল খোপা করে নিতে পারেন। আপ যাদের ছোট চুল তারা কিন্তু এখন ফ্যাশনেবল হেয়ার কাট করে নিজের লুকটা অনায়াসেই পাল্টে নিতে পারেন।
চুল যেন কোনওভাবেই রুক্ষ না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ রুক্ষ হলে চুল অকালে ঝরবে। তার পাশাপাশি দেখতেও খারাপ লাগবে। তাই শ্যাম্পু করার আগে ভাল করে মাথায় তেল দিয়ে সারারাত স্কার্ফ দিয়ে বেঁধে রাখবেন। সকালে শ্যাম্পু করে তারপর কন্ডিশনার লাগাবেন। এতে চুল অনেকটাই ভাল থাকবে।