ডেঙ্গুর প্রকোপ থাবা বসাচ্ছে বাণিজ্যনগরীতে

  • গত চার মাসে ম্যালেরিয়ার থেকেও পাঁচগুণ বেশি বংশবিস্তার করেছে ডেঙ্গুর মশা 
  • বাণিজ্য শহরে ৩১০২টি স্থানে ডেঙ্গুর মশা এডিস ইজিপ্টির প্রজননের খবর পাওয়া গিয়েছে
  • ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষ জলাধার পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে
  • সেখানে ডেঙ্গুর মশার লার্ভা বিনাশের কাজ চালানো হয়েছে

Indrani Mukherjee | Published : Jun 27, 2019 5:50 AM IST / Updated: Jun 27 2019, 11:38 AM IST

বৃহন্মুম্ববই মিউনিপাল কর্পোরেশনের কীটনাশক বিভাগের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, গত চার মাসে ম্যালেরিয়ার থেকেও পাঁচগুণ বেশি ডেঙ্গুর মশা বংশবিস্তার করেছে। এমনকী এও জানা গিয়েছে যে, গত বছরের থেকে প্রায় দুগুণ হারে বেশি বংশ বিস্তার করেছে ডেঙ্গুর মশা। 

পৌরসভার কীটনাশক বিভাগ থেকে একটি প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে যার মূল লক্ষ্য, ডেঙ্গু ও ম্য়ালেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান চালানো, যাতে মশার বংশ বিস্তার কিছুটা হলেও কমানো যেতে পারে। সূত্রের খবর গত জানুয়ারি মাস থেকে  এখনও পর্যন্ত, বাণিজ্য শহরে ৩১০২টি স্থানে ডেঙ্গুর মশা এডিস ইজিপ্টির প্রজননের খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, শহরে ডেঙ্গুর মশা ম্যালেরিয়ার মশা অ্যানোফিলিস স্টিফেনসির থেকে প্রায় পাঁচগুণ বেশি হারে বংস বিস্তার করেছে।
শহরের প্রায় ৬০৬টি স্থানে অ্যানোফিলিস মশার প্রাদুর্ভাব চোখে পড়েছে। 

জানা গিয়ে, এবছর জানুয়ারী থেকে মার্চের মধ্যে বাণিজ্যনগরীতে প্রায় ৪৪ জন মানুষে ডেঙ্গুর কবলে পড়েছেন, যা অন্যান্যবারের থেকে অনেক বেশি। বৃহন্মুম্ববই মিউনিপাল কর্পোরেশনের এর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষ জলাধার পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেখানে ডেঙ্গুর মশার  আতুরঘর ধ্বংসের কাজ চালানো হয়েছে।  এর মধ্যে মানুষের বাসস্থান, শিল্প-বাণিজ্য এলাকা, এবং বস্তি অঞ্চলেও ডেঙ্গুর লার্ভা বিনাশের কাজ চালাচ্ছে পৌরসভা। ডেঙ্গুর মশা যাতে জন্ম নিতে না পারে সেকারণে প্রায় চার লক্ষ বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ চালানো হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে।

কীটনাশক ব্যবহার করার আগে কেন দুবার ভাববেন 

পৌরসভার পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মশা মূলত জন্ম নেয় পরিষ্কার জলেই। আর সেই কারমেই ফুললের টব, ফুলদানি-র মতো জায়গায় জল বেশিদিন জমিয়ে না রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বৃহন্মুম্ববই পৌরসভা। 

Share this article
click me!