
ত্বকের পরিচর্যা এই গরমে ভীষণভাবে রাখা জরুরি। অতিরিক্ত ঘাম, ধুলো ময়লার হাত থেকে ত্বককে বাঁচানো যেমন দরকার, তেমনই প্রয়োজন ত্বকের সুস্থতা ও নিজেকে সুন্দর করে তোলা। এজন্য প্রাথমিক শর্ত হল ত্বক পরিষ্কার রাখা। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? জানি সবাই বলবেন অগুণতি ফেসওয়াশ রয়েছে কী করতে। কিন্তু তাতে যে অগুণতি কেমিক্যাল রয়েছে, তার খবর তো আর কারোর অজানা নয়।
তার চেয়ে পকেট না খসিয়ে আর কেমিক্যাল দিয়ে ত্বক ধ্বংস না করে, চলুন বাড়িতে পড়ে থাকা কিছু সহজ উপাদান দিয়ে ফেসওয়াশ তৈরি করে নিই। এতে টাকা যেমন খরচ করতে হবে না, তেমনই ত্বক প্রাকৃতিক উপাদান পেয়ে ভালো থাকবে।
১. দই এবং মধু
একটি পাত্রে দুই চা চামচ দই নিন এবং এতে এক চা চামচ অর্গানিক মধু যোগ করুন। এই প্যাকটি ভালো করে মিশিয়ে সারা মুখে লাগান। তারপর প্রায় ২-৩ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক খুব শুষ্ক হলে ১ চা চামচ অলিভ অয়েলও যোগ করতে পারেন।আপনি যথারীতি আপনার টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং অনুসরণ করতে পারেন। এই ক্লিনজারটি নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এটি ত্বককে গভীরভাবে অথচ খুব হালকা ভাবে পরিষ্কার করে।
২. মধু এবং ডিম
১টি বড় ডিমের কুসুম নিন, ১ চা চামচ জৈব মধু যোগ করুন। ৬-৭টি বাদামের একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন এবং এই প্যাকে যোগ করুন। প্যাকটি ভালো করে নেড়ে সারা মুখে লাগান। এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন, যাতে প্যাকটি ভালভাবে শুকিয়ে যায়। মসৃণ এবং ময়শ্চারাইজড মুখ পেতে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. দই এবং স্ট্রবেরি
দুটি তাজা পাকা স্ট্রবেরি নিন এবং দুই চা চামচ দই যোগ করুন। উভয় উপাদানই ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন এবং মিশ্রণটি আস্তে আস্তে নাড়ুন। আপনার মুখে লাগান এবং আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটি ৫-৭ মিনিটের জন্য রাখুন এবং তারপরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ক্লিনজারটি মুখের অতিরিক্ত তেল এবং সিবাম দূর করবে।
৪. দুধ এবং মধু
১ চা চামচ মধুর সাথে ২ চা চামচ কাঁচা দুধ মেশান। ভালভাবে মিশিয়ে একটি লোশনের মত তৈরি হবে। যা আপনি ত্বকে সমানভাবে প্রয়োগ করবেন। ।
ত্বকে ২-৩ মিনিটের জন্য আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং তারপরে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই ক্লিনজারটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে, এবং মুখের তেল দূর করবে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি একটি চমৎকার ঘরে তৈরি ফেসওয়াশ।