ক্রিস্টমাস সকলের কাছে বড় উৎসব। কেক ছাড়া এই উৎসব জমে ওঠে না । এখন বিভিন্ন দোকানে রাস্তাতেই বহু কেকের দোকান দেখা গেলেও কিছু জায়গার কেকের স্বাদ মুখে লেগে থাকার মত। সেরকমই এক অন্যতম হল শালদানার কেক। এই নাম টার মধ্যে একটা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যে বেকারীর নাম এতটা আকর্ষণীয় হতে পারে , সেখানকার কেক না খেলে সব থেকে বড় মিস হয়ে যায়। এই বেকারির বয়সও প্রায় ৯০ বছরে এসে ঠেকেছে। আজ থেকে প্রায় বহু বছর আগেই শুরু হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠাতা উবেলিন সালদানা।
আরও পড়ুন- করোনা থেকে মুক্ত হয়ে সামনের বছর আবার মেতে উঠবে পার্কস্ট্রিট এর ফ্লুরিজ কেক ফেস্টিভ্যাল
যিনি এই কেকের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তারপর একের পর এক বংশপরম্পরায় এই ব্যবসাকে বহন করে নিয়ে আসছে। এখন এই ব্যবসার মালিকানা ডেবরা আলেকজান্ডার ও তার কন্যা আলিশা আলেকজান্ডার। চতুর্থ প্রজন্ম ধরে এই ব্যবসাকে আয়ত্ত করে রেখেছেন তারা। এবং যত দিন যাচ্ছে এর প্রসিদ্ধ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার জন্য কিছুটা কম হলেও ক্রিস্টমাসের আগেই বিরাম নেই তাদের। প্রচুর কেকের অর্ডার পেয়েছেন তারা। আলিশা ও ডেবরা সকলেই ব্যস্ত কেকের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে তাকে পার্সেল করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বাইরে। সালদানার কেকই কেন খাবেন ? এই কেকের মধ্যে এমন কি বিশেষত্ব আছে যা একবার খেলে বারবার সেই টানে তাকে ফিরে যেতে হয় সালদানায়। এর পেটিস, পেস্ট্রি, কেক খেতে সবাই কেন পছন্দ করে সেটাই জানালেন সালদানা বেকার এর বর্তমান প্রজন্মের কর্ণধার দেব্রা আলেকজেন্ডার বললেন, এখানকার কেক খেতে সকলে খুব ভালোবাসে। কারণ এর স্বাদ অসাধারণ।
আরও পড়ুন- অতিমারীতেও বড়দিনের কেকের স্বাদ উপভোগ করতে ভিড় জমেছে নিউমার্কেটের নাহুমে
এই কেকের উপাদানগুলি মুখোরোচক করে তোলে। কেকটি যে সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয় , তা খুবই ভালো। খুব ভালো করে বেক করা হয়। সব মিলিয়ে এক অসাধারন। অন্য কেকের তুলনায় একটু আলাদাভাবে ভাবনাচিন্তা দিয়ে করা হয়। ক্রিসমাসের জন্য স্পেশাল যে কেক থাকে ফ্রুট কেক, ওয়ালনাট কেক, প্লেন কেক, রিচ ফ্রুট কেক , চকোলেট ওয়ালনাট কেক, এছাড়াও এখানকার কোকোনাট ম্যাক্রন কুকিস বিখ্যাত। ভাইরাসের জন্য তারা যথেষ্ট নিয়ম দূরত্ত্ববিধি মেনে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন কেকের বাক্সটি। সমস্ত কিছু সতর্কতাঃ মেনেই তারা চলছেন। কেক বানাচ্ছেন।