Pakistan: ইসলামের সমালোচনা করায় মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড, পাকিস্তানে কঠোর Blasphemy Law

সোমবার পাকিস্তানের নিশতার কলোনির একটি বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল সলমা আনভিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। 

Asianet News Bangla | / Updated: Sep 29 2021, 06:37 AM IST

ইসলামের (Islam) সমালোচনা করেছিলেন। এটাই ছিল এক স্কুলের অধ্যক্ষার (School Principal) আপরাধ। সেই অপরাধেই অধ্যক্ষাকে মৃত্যুদণ্ডে সাজা (Death Sentences) শোনাল আদালত। একই সঙ্গে জরিমানা হিসেবে ৫০ হাজার টাকও ধার্য করা হয়েছে। লঘুপাপে গুরুদণ্ডে দেওয়ার ঘটনা অন্য কোথাও নয়, প্রতিবেশী পাকিস্তানেই (Pakistan) ঘটেছে। 

সোমবার পাকিস্তানের নিশতার কলোনির একটি বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল সলমা আনভিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। অরিতিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মনসুর আহমদ রায় দেওয়ার সময় বলেছিলেন তনভীর এই কথা মানতে অস্বীকার করেছেন যে নবী মহম্মদ ইসলামের শেষ নবী ছিলেন না। লাহোর পুলিশ ২০১৩ সালে আলেমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তানভীরের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেছিল। তার বিরুদ্ধে মহম্মদের চূড়ান্ততা অস্বীকার করার অভিযোগ ছিল। পাল্টা  সে নিজেরেই ইসলামের নবী বলেও দাবি করেছিল। পাকিস্তান প্রশাসন পুরো ঘটনাটিকে অধার্মিক কথাবার্তা বলা হিসেবেই দেখছে।

তানভীরের আইনজীবী মহম্মদ রমজান বলেছিল তার মক্কেল একজন অবুঝ মনের মানুষ। আদালত এই সত্যটার দিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তনভীরের আত্মীয়রা জানিয়েছেন তনভীর মানসিক অবসাদে ভুগছিল। সেই জন্যই সে এজাতীয় মন্তব্য করেছিল। যা তার পরিবারও সমর্থন করে না। কিন্তু তনভীরের মৃত্যুদণ্ড তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন। 

যাইহোক পঞ্জাব ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের একটি মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছে তনভীরের মন্তব্য সন্দেহভাজন। বিচারের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু তার মানসিক বিকৃতি ছিল না। পাকিস্তানে বিতর্কিত ব্লাসফেসি আইনের শাস্তিও অত্যান্ত ভয়ঙ্কর। ১৯৮৭ সাল থেকে এপর্যন্ত এই আইনে কমপক্ষে ১৪৭২ জন মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

Shocking: মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক জানতে পারায় খুন মেয়ে, লাস পাচার করল বাবা

প্রিয়জনের কাছ থেকে আপনি প্রতারিত হচ্ছেন কি, বিয়ে বা প্রেম- আঘাত পেতে না চাইলে ১০টি জিনিস মেনে চলুন

Communist in Congress: রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কানহাইয়া কুমারের দলবদল, মণীশ তিওয়ারির রহস্যময় টুইট

এই আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণদিক হল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পছন্দের আইনজীবী নিয়োগ করা অধিকার পান না। অনেক সময়ই আইনজীবীরাও এজাতীয় সংবেদনশীল মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয় না। ব্লাসফেমি আইন প্রাচীন ঔপনিবেশিক যুগের আইন। কিন্তু সেগুলি সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউল হত সংশোধন করে শাস্তি আরও কঠোর করেছিলেন।

Share this article
click me!