বহু মায়েরাই আছেন যারা আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করে বাচ্চার। তার ব্যর্থতার কথা সকলকে জানায়। সুযোগ পেলেই বন্ধুদের (Friends) সামনে বাচ্চাকে লজ্জায় ফেলছেন, আপনার এই আচরণে মানসিক রোগে (Mental Problems) আক্রান্ত হতে পারে সে। জেনে নিন ঠিক কী কী কারণে আপনার তুলনা করার স্বভাবের বদল করবেন।
সদ্য নতুন ক্লাসে উঠল রিজু। পরীক্ষায় (Exam) ফল খুবই খারাপ করেছে। ইচ্ছে করে করেছে এণন নয়। জানা প্রশ্নের ভুল উত্তর দিয়ে এসেছিল। সে যাই হোক, সামনেই বন্ধুদের পিকনিক (Picnic)। সেখানে মা যাবে। এই নিয়ে সে ভয়ে কাঁটা হয়ে আছে। বন্ধুদের সঙ্গে মার দেখা হোক সেটা রিজু চায় না। কারণ, দেখা হলেই মা বার বার তুলনা করে। বন্ধুদের সামনে এমন কথা বলে, যাতে অপ্রস্তুতে পড়তে হয় রিজুকে। এমন শুধু রিজুর মা নয়, বহু মায়েরাই করে থাকে। আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করে বাচ্চার। তার ব্যর্থতার কথা সকলকে জানায়। মায়েরা ভাবেন এতে বাচ্চার শিক্ষা হবে। সে নিজের ভুল সংশোধন করবে। কিন্তু, বাস্ততে ঘটে ঠিক তার বিপরীত। জেনে নিন ঠিক কী কী কারণে আপনার তুলনা করার স্বভাবের বদল করবেন।
অপমান বোধ- আজকাল কাল বাচ্চাদের একটু বেশিই মান-সম্মান বোধ। কারও মধ্যে তা খুব বেশি। তাই বন্ধুদের সামনে আপনি তার ব্যর্থতার কথা বললে সে অন্যভাবে নেবে। সে ভুলেও নিজের পরিবর্তন করবে না। বরং, সকলের থেকে আড়ালে থাকতে চেষ্টা করবে। এতে বাচ্চার মধ্যে সোশ্যাল অ্যাংজাইটি (Social Anxiety) দেখা দিতে পারে। এমনকী, অপমানের জন্য আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটতে পারে। এই বিষয়ও নতুন নয়।
জেদ- অনেক বাচ্চা বড্ড বেশি জেদি হয়। তার ওপর বাচ্চাকে বার বার যদি অপমান করেন সে আরও জেদ দেখাবে। তার মনে যদি একবার ঢুকে যায় সে সকলের থেকে পিছিয়ে তা হলে সমস্যা আরও বাড়বে। বাচ্চাকে বুঝিয়ে যতটাও বা পড়াশোনা করাতে পারবেন। জেদ করলে তা করা আরও মুশকিল হয়ে যাবে।
আত্মবিশ্বাস- বার বার অপমান করলে বাচ্চার আত্মবিশ্বাস (Confidents) ভেঙে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই বাচ্চার ভুল তাকে বোঝান। কীভাবে নিজেকে ভুল ঠিক করবে, তা শিক্ষা দিন। কিন্তু, তাকে অপমান করে বা সমবয়সী কারও সঙ্গে তুলনা করে আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেবে না।
আরও পড়ুন: আপনার ওপরই বাচ্চার ভবিষ্যত নির্ভর করছে, এই কয়টি বিষয় খেয়াল রাখুন
মানসিক স্বাস্থ্য- অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মা-বাবার এই স্বভাবের জন্য বাচ্চার মানসিক সমস্যা (Mental Problems) দেখা দিয়েছে। বার বার বাচ্চাকে অপমান করা, অন্যের সঙ্গে তুলনা করা কিংবা ছোট করলে তার খাবার প্রভাব পড়ে বাচ্চার মানসিক স্বাস্থ্যে। এতে বাচ্চার মধ্যে একা থাকার প্রবণতা দেখা দেয়, দেখা দেয় সোশ্যাল অ্যাংজাইটি। এই সমস্যা খুব মাত্রায় বেড়ে গেলে হতে পারে মানসিক রোগ।