সংক্ষিপ্ত

আপনার ওপরই নির্ভর করছে বাচ্চার ভবিষ্যত (Future)। তাই শুধু শাসনে রাখলে বাচ্চা ঠিক পথে চালিত হবে এমন নয়। বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে কয়টি জিনিস মেনে চলতে হবে।

বাচ্চার (Kids) সঠিক ভবিষ্যত (Future) গঠন করতে কে না চায়।  তাকে ঠিক পথে চালনা করা, তার পড়াশোনায় উন্নতি করা এমনকী বাচ্চার সঠিক কেরিয়ার গঠনের জন্য পরিশ্রম করতে হয় মা বাবাকেও। বাচ্চা যাতে ভুল পথে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখা মা-বাবার সব থেকে বড় দায়িত্ব। কিন্তু, বাচ্চাকে সঠিক পথে চালনা করতে গিয়ে মা-বাবারাই ভুল করে ফেলে। বেশি শাসনে রাখতে গিয়ে ক্ষতি করে ফেলে বাচ্চার। মনে রাখবেন, আপনার ওপরই নির্ভর করছে বাচ্চার ভবিষ্যত (Future)। তাই শুধু শাসনে রাখলে বাচ্চা ঠিক পথে চালিত হবে এমন নয়। বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে কয়টি জিনিস মেনে চলতে হবে। 

সবার আগে বাচ্চার বন্ধু (Friend) হয়ে উঠুন। তার সঙ্গে দূরত্ব রাখবেন না। তবে, বন্ধু মানে এই নয় যে মা-সন্তানের সম্পর্ক ভুলে তার সঙ্গে মিশবেন। তবে, বন্ধুত্বপূর্ণ (Friendly) সম্পর্ক গঠনের চেষ্টা করুন। বাচ্চা যেন আপনার প্রতি ভয় না থাকে। বাচ্চার সঙ্গে সব ধরনের আলোচনা করুন। তার মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করুন। সে আপনার সঙ্গে যত সহজ হবে, তত সব কথা জানাবে। এত ভুল পথে চালিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। 

কথায় কথায় বকা দেওয়ার অভ্যেস (Habits) থাকে অনেক মা-বাবার। এই স্বভাব বদল করুন। তাকে যত বকবেন, সে তত জেদি তৈরি হবে। এতে আপনার কথা তো শুনবেই না, বরং অন্য সমস্যা দেখা দেবে। তাছাড়া, সারাক্ষণ অর্ডার (Order) দেবেন না বাচ্চাকে। তার ওপর আপনার ইচ্ছে চাপিয়ে দেবেন না। বাচ্চার ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন। সে কী চায়, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।  

হতেই পারে কোনও পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছে। তাই বলে সকলের সামনে বাচ্চাকে বার বার অপমান করবেন, এটা ঠিক নয়। এতে বাচ্চার আত্মবিশ্বাস (Confidence) নষ্ট হয়। আবার অনেক মা-বাবা অন্য বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করে। এটা করাও উচিত নয়। বাচ্চা তার ভুলটা বুঝিয়ে বলুন। সেটা কীভাবে পরিবর্তন করবেন শেখান। কিন্তু বার বার তার ব্যর্থতা মনে করালে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হবে। 

আরও পড়ুন: Parenting Tips: বাচ্চার আচরণের ভুল মানে বের করে তাকে বকাবকি করবেন না, জেনে নিন কী করা উচিত নয়

আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সারাদিন বুঁদ হয়ে রয়েছে বাচ্চা, জেনে নিন স্মার্ট ফোন বাচ্চার মস্তিষ্কে কীভাবে প্রভাব ফেলে

বাচ্চাকে সময় দেওয়া খুব প্রয়োজন। আজকাল অধিকাংশ পরিবারেই মা-বাবা দুজনে কর্মরত (Working)। বাচ্চা একা একা বড় হয়। অথবা সে কাজের মাসির কাছে বড় হয়। এতে বাচ্চার (Kids) মধ্যে একাকীত্ম্যে ভোগার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই যতই ব্যস্ত থাকুন। বাচ্চাকে সময় দিন। আপনার জীবনে তার যে গুরুত্ব আছে, তা বোঝার দরকার আছে।