প্রতিমা বিসর্জনের অনুমতির দাবিতে অবোরোধ চালায় কৃষ্ণনগর পুরসভার বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তরা।অবরোধে আটকে কলকাতায় আসার পথে অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু অসুস্থ শিশুর।
অবরোধে আটকে কলকাতায় আসার পথে অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু অসুস্থ শিশুর ( Child died in an Ambulance)। প্রতিমা বিসর্জনের অনুমতির দাবিতে অবোরোধ চালায় কৃষ্ণনগর পুরসভার বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তরা (Entrepreneurs of Baroari Pujo of Krishnanagar Municipality)।অবরোধে (Strike)আটকে পড়ে ওই অ্য়াম্বুলেন্সটি। অ্যাম্বুলেন্সেই শিশুটির মৃত্য়ু হয়।
নদিয়ায় অবরোধের জেরেই দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে অ্যাম্বুলেন্সে। কৃষ্ণনগর পুরসভার ৩৪ নং জাতীয় সড়কে অবরোধ করেন বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকেই এই সড়ক অবরোধ চলতে থাকে। বাঁশের ওপর বসিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের অনুমতির দাবিতে অবোরোধ চালায় তাঁরা। অবোরোধের জেরে দীর্ঘ সময় আটকে থাকে যান চলাচল। আর এহেন পরিস্থিতির শিকার হয় কলকাতাগামী ওই অ্য়াম্বুলেন্সটিও। অবরোধে আটকে পড়ে ওই অ্য়াম্বুলেন্সটি। এদিকে অসুস্থ শিশুর শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতে শুরু করে।দীর্ঘসময় আটকে থাকার ফলে অ্যাম্বুলেন্সেই শিশুটির মৃত্য়ু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এই ঘটনায় ৫ জন অবরোধকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।প্রসঙ্গত, অ্যাম্বুলেন্সে আটকে পড়ে মৃত্যু এই প্রথমবার নয়। এবারের প্রেক্ষাপট ছিল অবরোধ। তবে কোভিড বর্ষে বারংবার বিনা অবরোধেও অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে রোঘীর মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অন্যতম কারণ রাস্তার যানযট, হাসপাতালের পর হাসপাতাল ফিরিয়ে দেওয়া। সাধারণত যেই কারণে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাওয়া, সেই কারণটাই অনর্থক হয়ে যায়।
আরও পড়ুন, Covid-19: ছট পুজোর আগেই ফের লাগামছাড়া করোনা, একদিনে লাফিয়ে বেড়ে ৮০০ ছুঁইছুঁই রাজ্যে
কুড়ি সালের এপ্রিল মাসে আবার অ্যাম্বুলেন্স পৌছাতে না পারার জন্য একটি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। কোভিডে লকডাউনে চলছে তখন। সোশ্যালমিডিয়ায় ভয়াবহ দৃশ্য উঠে আসে। কোলে মৃত শিশু, আর্তনাদের স্বরে লকডাউনের পথে হেঁটে চলেছে মা। আর পেছনের আর এক শিশুকে কোলে করে হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে চলেছে বাবা। পথচলতি এক মানুষের সঙ্গে কথোপকথন থেকে বোঝা যাচ্ছে, লকডাউনের বাজারে কোথাও অ্য়াম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। তাই অসুস্থ শিশুর চিকিৎসার কোনও সুযোগই পাওয়া যায়নি। সেই কারণে কার্যত পথেই বেঘোরে মরতে হয় ওই দুধের শিশুকে। এমন মর্মান্তিক মৃত্য়ুর ভিডিয়োটি খুব সম্ভবত বিহারের বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির বয়স মোটে তিনবছর। তার উপর ২০২০ সাল থেকে কোভিড বর্ষ শুরু হওয়ার পর একাধিক নানা রোগের শিকার হওয়ার পরেও মৃত্য়ু হয়েছে অনেক শিশু এবং নাবালকের।পুজোর আগে করোনা না হলেও অজানা জ্বরে মালদা, জলপাইগুড়ি সহ একাধিক জেলার শিশু প্রাণ হারিয়েছে। তবে পুজোর পর কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে যে শিশু মৃত্যুর সম্ভাবনার কথা আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তা থেকে এখন অনেকটাই মুক্তি।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে