ফাইলেরিয়া রোগ নিয়ে তৎপর প্রশাসন। শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে রাজ্যে শুরু হল ফাইলেরিয়া পরীক্ষা।
ফাইলেরিয়া রোগ নিয়ে তৎপর প্রশাসন। শিশুদের (Children)সুরক্ষিত রাখতে রাজ্যে শুরু হল ফাইলেরিয়া পরীক্ষা (Filaria testing)। জেলার প্রতিটি পুরসভা ও ব্লকগুলিতে শিবির করে শিশুদের ফাইলেরিয়া পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুরসভা ও ব্লকের বিএমওএইচদের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। জেলার প্রায় ৩ হাজারের বেশি ফাইলেরিয়া (Filaria) করার লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সারা দেশে ফাইলেরিয়া দূরীকরণে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২০০৪ সালে একটি বিশেষ কর্মসূচি নেয়। তারপর থেকে প্রতিবছর রাজ্যজুড়েই ফাইলেরিয়া দূরীকরণের জন্য প্রতিটি এলাকাতেই ফাইলেরিয়া রোগ পরীক্ষা করা হয়। তবে তার আগে এলাকাভিত্তিক শিশুদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। তারপর এলাকা নির্বাচন করা হয়। বর্ধমানের কাটোয়া শহরেও তিনদিন ধরে শিশুদের ফাইলেরিয়া পরীক্ষা করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, ফাইলেরিয়া বা গোদ মশাবাহিত একটি রোগ। হাত-পা ফোলা হাইড্রোসিল এই রোগের মূল লক্ষণ। এই রোগের মূল ভূমিকা থাকে এক ধরণের কৃমির। পূর্ণ বয়ষ্ক কৃমি আক্রান্ত ব্যাক্তি লসিকা গ্রন্থির মধ্য়ে বসবাস করে। স্ত্রী কৃমি বিপুল সংখ্যায় প্রজনন ঘটায়। অনু কৃমি বা মাইক্রো ফাইলেরিয়া রক্তের মধ্য়ে চলে আসে। তখনই এই রোগের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন, Gariahat Murder: গড়িয়াহাট খুনে নয়া মোড়, ভিকির মোবাইলের সন্ধানে খালে ডুবুরি নামাল পুলিশ
এদিকে দ্বিতীয় তরঙ্গের পর দেশে একশো কোটির ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হলেও কোভিডের থাবা থেকে মুক্তি পায়নি সাধারণ মানুষ। কলকাতা সহ একাধিক শহরে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও অনেকেই কোভিডে পুনরায় আক্রান্ত হয়েছে। আর পুজোর আগে সববেশি শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছিল বাংলা সহ সারা দেশে। বিশেষ করে তৃতীয়তরঙ্গে আক্রান্ত হবে বেশি শিশুরাই, বিষেশজ্ঞদের দেওয়া এই সাবধানবাণীতেই অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তবে সেই আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়, যখন বাংলায় একের পর এক শিশু অজানা জ্বরে শিশু মৃত্য়ু শুরু হয়। আক্রান্ত হয় কয়েক হাজার শিশু এই অজানা জ্বরেই। এদিকে এহেন কঠিন পরিস্থিতিতেই ফাইলিরায় এবার নতুন করে উদ্যোগ বাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্যদফতরের সিএমওইএইচ প্রণব রায় বলেছেন, আমরা জেলার পুরসভা ও ব্লকের কিছু নির্দিষ্ট এলাকার শিশুদের ফাইলেরিয়া পরীক্ষা করব। প্রতিদিনই পরীক্ষা করে ফাইলেরিয়া ধরা পড়েছে। সেই সংখ্যাটা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে শিশুদের ফাইলেরিয়া পরীক্ষা করা জরুরি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি, কাটোয়া, কালনা,গুসকরা, দাইঁহা পুরসভাগুলিতে ফাইলেরিয়া পরীক্ষা করার শিবির ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তাছাড়া জেলার ব্লকগুলিতে এই শিবির করার জন্য় নির্দেশ দিয়েছে। তাদের টার্গেট বেধে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে এলাকা ভিত্তিক শিশুদের উপর সমীক্ষা করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট করা এলাকাগুলিতেই শিশুদের ফাইলেরিয়া পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে