কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে দেওয়া অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ তুলে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে রাজ্য সরকার।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে দেওয়া অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ তুলে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হল রাজ্য সরকার। বলা যেতে পারে ভোটের আগেই অস্বস্তি বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট।
25
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া রক্ষা কবচ তুলে নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে থাকা চারটি মামলায় রাজ্য সরকার ও সিবিআইকে যৌথভাবে বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
35
অন্তবর্তী রক্ষাকবচ
২০২২ সাল থেকেই শুভেন্দু অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ পেয়ে আসছিলেন। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তাতে বলা হয়েছিল হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সরকার। কোনও এফআইআর দায়ের করাও যাবে না। যার কারণে একাধিক অভিযোগ উঠলেও পার পেয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।
এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, কোনও রক্ষাকবচ অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে না। তাই এই রক্ষাকবচ প্রত্য়াহার করা হল। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে যে ১৫টি মামলা ছিল তা খারিজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বা তার আইনজীবী কিছু বলতে চাইলে সোমবার আদালতে লিখিত ভাবে জানাতে পারে।
55
সক্রিয় হতে পারে রাজ্য় সরকার
আদালত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে আর কোনও বাধা রইল না রাজ্য সরকারের। এবার রাজ্য সরকার একাধিক মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, তিন চার বছর ধরে যে বাধা ছিল তারা আর থাকছে না। শুভেন্দু বেশি মস্তানি করে বেড়াতেন সেটা এবার বন্ধ হবে।