হুংকার ছাড়লেন হুমায়ুন কবীর। আবারও বললেন দল ছাড়ার কথা। বৃহস্পতিবার হুমায়ূন কবীর বলেন, 'আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হোক। আমি বেরিয়ে যেতে চাইছি।' 

আবারও হুংকার ছাড়লেন হুমায়ুন কবীর। আবারও বললেন দল ছাড়ার কথা। বৃহস্পতিবার হুমায়ূন কবীর বলেন, 'আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হোক। আমি বেরিয়ে যেতে চাইছি।' তবে তিনি এবারও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমালোচনা না করে সরাসরি মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। জেলা তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কথাই বলেছেন।

হুমায়ূন কবীবের মন্তব্য

হুয়ামূন কবীর বলেন, '২০২৩ সাল থেকে বলছি দুই জন ব্লক সভাপতিকে সরান। চিঠি দিয়েছে। অনুরোধ করেছি। কেউ শুনল না। ' দলের নেতা চুরি করছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'যারা বালির ঘাট থেকে তোলাবাজি করছে পুলিশের সঙ্গে ভাগ বসাচ্ছে তারা এখন নেতা হয়ে বসে আছে। ' তবে এখানেই শেষ করেননি হুমায়ূন। তিনি পুলিশের জুলুম, ক্যান্টিনের মাল বিক্রি নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন এক লরি বালি যেখানে ৪০ হাজারে পাওয়া যায় সেখানে ৫০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন এই অন্যায় তিনি মেনে নেবেন না।

হুমায়ূনের হুংকার

ভরতপুরের বিধায়ক তৃণমূলের প্রতীক ছাড়াই ভোটে জিতে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমাকে যদি অস্মান করো আমি দুটো সিটে দাঁড়াব। জিতে দেখাব কার সঙ্গে মানুষ আছে।' দলের নেতাদের কটাক্ষ করে বলেন, 'এই ভীষ্ম, অপূর্ব সরকার, নিয়ামত হাজি, খলিলুর রহমান - এরা নাকি নেতা! বাকিরা তেজপাতা। তরকারিতে দিলে গন্ধ আসে। কিন্তু খাওয়া যায় না। ফতেমা মহিলা নেত্রী, তার বরকে ভোটে ঘুষি মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে, সে হচ্ছে নেত্রী! কাউসারের বাবা আজও কংগ্রেস করে — সে হচ্ছে নেতা!' তিনি রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, 'এইসব নেতাদের ছবি টাঙিয়ে ভোটে নামুক আমি একা নামব।- দেখা যাক কার কত দম আছে। ' তিনি আরও বলেছেন, তিনি দল ছাড়তে চান। দল তাঁকে বের করে দিতে পারে। তবে তিনি আরও বলেছেন, 'আমাকে দল থেকে বের করে দেখাক না! মুর্শিদাবাদে আসন সংখ্যা ২০-১০এ নামবে!' তিনি আরও বলেন, তাঁর আর মমতার জন্যই ২০২১ সালে মুর্শিদাবাদে ২২টির মধ্যে ২০টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।