মন্ত্রীর গড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ।গভীর রাতে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের অনুগামীদের মারধর।যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র এলাকা। দীর্ঘক্ষণ থানা ঘেরাও। উত্তপ্ত পরিস্থিতি। উত্তেজনা রয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে
ফের মন্ত্রীর গড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গভীর রাতে জেলা পরিষদ সদস্যর অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ বিধায়ক অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে পড়়ে গোটা এলাকার পরিবেশ। দীর্ঘক্ষণ থানা ঘেরাও করে রাখে শাসকদলের অনুগামীরা। এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের, কিছু জানেন না বলে সাফাই মন্ত্রীর, চরমে শাসকের কোন্দল, উত্তপ্ত এলাকা, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির
ফের মন্ত্রীর গড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ।গভীর রাতে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের অনুগামীদের মারধর।যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র এলাকা। দীর্ঘক্ষণ থানা ঘেরাও। উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ক্ষুব্ধ তৃণমূলের দাপুটে জেলা পরিষদ সদস্য। যদিও ঘটনা জানেন না বলে দাবি মন্ত্রীর। কাঠগড়ায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরা। তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
TMC Vs TMC
উৎসবের মরশুমে ভাতৃদ্বিতীয়ার রাতে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ফের বিধায়ক তথা মন্ত্রী তাজমুল হোসেন বনাম জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ। বুলবুল অনুগামীদের অভিযোগ তাদের তিনজন হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় রাতে পান খেতে এসে ছিলেন। সেই সময় ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি বিজয় দাসের ভাই দুর্জয় দাস, সাইরাজ সহ তাজমুল ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাদের আক্রমণ করে। বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে দেয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের অনুগামীরা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সদরে ভিড় জমাতে শুরু করে। খোদ বুলবুল খান এলাকায় আসেন। ঘেরাও করে রাখা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা। দোষীদের গ্রেফতারির দাবি উঠে। পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে ঘেরাও উঠে গেলেও তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল যে চরমে তা কার্যত দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যায়। জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের অভিযোগ,"যে ঘটনা ঘটছে সেটা অন্যায় হচ্ছে। এলাকায় সন্ত্রাস চলছে।" অন্যদিকে মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের দাবি,"তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা থেকে দূরে। তিনি রাত দশটার মধ্যে বাড়ি চলে আসেন। তাই কিছুই নাকি জানেন না।"
অশান্ত এলাকা
প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুরে সাম্প্রতিক সময়ে তাজমুল এবং বুলবুল অনুগামীদের মধ্যে বারবার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। দুর্গাপূজার সময় বুলবুল ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই ফের এই সন্ত্রাসের অভিযোগ। মূলত বিগত পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটে খারাপ ফলাফলের পর দলেরই এক অংশ ক্ষুব্ধ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।তার ভাই জম্মু রহমানের বিরুদ্ধে বারবার তোলাবাজিরও অভিযোগ তুলেছে দলের একাংশ। সমগ্র ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির। বিজেপির দাবি তৃণমূলের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এলাকায় সাধারণ মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে।তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।


