জুনিয়ার ডাক্তারদের লালবাজার অভিযানের দ্বিতীয় দিন। একটানা ২২ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভের পর অবশেষে মন কিছুটা গলল কলকাতা পুলিশের। শেষপর্যন্ত মিছিল মাত্র ১০০ মিটার এগোতে নির্দেশ দিয়েছে। সেইমত খোলা হচ্ছে ব্যারিকেড। ১০০ মিটার পরে অবস্থান বিক্ষোভ চালাবে জুনিয়ার ডাক্তাররা। সেখান থেকে ২২ জনের প্রতিনিধি দল যাবে লালবাজারে। তারা কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিবি জমা দেবে।
২২ ঘণ্টা পরে কলকাতা পুলিশের ব্যারিকেজ সলান হল ফিয়ার্স লেনের রাস্তা থেকে। এই ব্যারিকেড থেকে আরও ১০০ মিটার পথ মিছিল করবে আন্দোলনকারীরা। এর পরেই লালবাজার থেকে তাদের অবস্থান বিক্ষোভের দূরত্ব থাকবে ৪০০ মিটার। তবে সেখান থেকেই ২২ জনের প্রতিনিধি দল যাবে লালবাদারে। তবে এই ৪০০ মিটার কলকাতা পুলিশের কোনও ব্যারিকেড থাকবে না। মানববন্ধন করেই ভিড় সামাল দেবেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। যদিও ভিড়ের ওপর ওপর নজর রাখবে কলকাতা পুলিশ।
এদিন ১০০ মিটার মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পরেই আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকরা 'আমারা করব জয়' বলে স্লোগান দেন। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি ছিল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল পর্যন্ত তাঁদের এগোতে দেওয়া হোক। তবে ততদূর এগোতে পারছেন না তাঁরা। মিছিল যেখানে আটকে ছিল, সেখান থেকে ব্যারিকেডের অপর প্রান্তে আরও একশো মিটার এগোতে পারবেন তাঁরা। তবে ২২ ঘণ্টা পরে কলকাতা পুলিশের এই অনুমতির পরে আন্দোলনকারীদের মনোবল তুঙ্গে। এদিন আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করেও স্লোগান দেয়।
চার দফা দাবিতে সোমবার লালবাজার অভিযানে নেমেছিল জুনিয়ার ডাক্তাররা। দুপুর ২টোর সময় কলেজস্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করেছিল। কিন্তু লালবাজারের অনেক আগেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের পাঁচটি দাবি হল আরজি করে চিকিৎসক খুনে মোটিভ সামনে এনে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া। সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করতে হবে। সিপি বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করতে হবে। সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।