সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে লালবাজার অভিযানে জুনিয়ার ডাক্তাররা। জুনিয়ার ডাক্তারদের আটকাতে কলকাতা পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে আবারও পথে জুনিয়ার ডাক্তাররা। এবার তাঁদের গন্তব্য লালবাজার। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার দুপুর ২টো থেকেই শুরু হয়ে গেছে জুনিয়ার ডাক্তারদের লালবাজার অভিযান। কিন্তু জুনিয়ার ডাক্তারদের আটকাতে অতিসক্রিয় কলকাতা পুলিশ। জুনিয়ার ডাক্তারদের আটকাতে ৯ ফুঁট উঁচু লম্বা ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর। এদিন জুনিয়ার ডাক্তারদের লালবাজার অভিযান তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার পুলিশ দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে।

আন্দোলনকারীদের রুখতে বৌবাজারে বসেছে লোহার গার্ডরেল। সেই ব্যারিকেড আবার বাঁধা হয়েছে ভারি শিকলে! একই ছবি বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটেও। সেখানে প্রায় ৯ফুট সমান উচ্চতার গার্ডরেলের দেওয়াল তুলে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি তৈরি করেছে পুলিশ। লোহার গার্ডরেলের পিছনে বসেছে বাঁশের ব্যারিকেডও। সে সব বাঁধা হয়েছে দড়ি দিয়ে। সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও। যে রাস্তা দিয়ে মিছিল যাবে সেই রাস্তাতেও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।

জুনিয়ার ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছিল, সোমবার দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করবে জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের গন্তব্য লালবাজার। সেইমত এদিন দুপুর থেকেই কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হয়। জুনিয়ার ডাক্তারদের মিছিলে সামিল হয়েছেন কামদুনির প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়ালও। চার দফা দাবিতে জুনিয়ার ডাক্তারদের লালবাজার অভিযান। জুনিয়ার ডাক্তারদের কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ হল- ১.আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের বাঁচাতে প্রমান লোপাট করেছে কলকাতা পুলিশ তা আদালতের কথায় স্পষ্ট। আর এই ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। উল্লেখ্য কামদুনি কাণ্ডে প্রমান লোপাটের অভিযোগ আছে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে। ২. এদিন ১৪ আগস্টে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি সেদিন গোটা ঘটনা ঘটেছে পুলিশের সামনে। ওই ঘটনায় আসল কারা দোষী তাদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিও জানিয়েছে তারা।

 

জুনিয়ার ডাক্তাররা বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘরের আলো বন্ধ করে মোমবাতি জ্বালিয়ে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান জানিয়েছে। এই সময় তারা মানবন্ধন করবে বলেও জানিয়েছে। রাজ্যের  বাসিন্দাদের কাছে এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে তারা। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।