ফের একবার কপালে ভাঁজের সংখ্যা বাড়াচ্ছে নতুন এক ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই বুলবুল নামের এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.৩০ মিনিট নাগাদই সে তার যাবতীয় শক্তি সঞ্চয় করেছে বলে খবর। মৌসম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এর অবস্থান। আগামী কয়েক ঘন্টা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বুলবুল মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা দিঘায়, দেখুন ভিডিও
মৌসম বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ওড়িশা হয়ে এই বুলবুল পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে। আইএমডি-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানান, এই বুলবুলের প্রভাবে ঘন্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে হাওয়ার। তবে কেন্দ্রে আবার এর গতি হবে ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শক্তি বাড়ালো বুলবুল, এখন সে প্রবল ঘুর্ণিঝড়, প্রস্তুতির তদারকি করলেন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদী
জানা যাচ্ছে, ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে সব জেলা প্রশাসনিক অধিকর্তাকে এই বুলবুলের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। যাতে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে যে কোনও বড় বিপদকে এড়িয়ে যাওয়া যায়।
দেখলে মনে হবে হিমশৈল, যমুনার দূষিত জলের ছবি ভাইরাল
মৌসম বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত্যুঞ্জয় মাহাপাত্র জানান, এই ঘূর্ণবাতের ওপর নজর রাখা হচ্ছে যাতে এটি কোথায় শেষ পর্যন্ত গিয়ে আছড়ে পড়তে পারে তা আগেভাগেই বোঝা যআয়। তিনি আরও জানান, এই ঘূর্ণিঝড় ভালো রকম শক্তি সঞ্চয় করে আছড়ে পড়তে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের উত্তর - উত্তর পশ্চিমে এগিয়ে যাবে।
নদী না বাথটাব, যমুনার বুক জুড়ে শুধু ফেনা আর ফেনা, কিন্তু এই জলে নামলেই বিপদ
ইতিমধ্যেই রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মত পর্যটনস্থলগুলিতে মাইকিং করা হচ্ছে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে। সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকেও চালানো হচ্ছে নজরদারি। যদিও এখনও পর্যন্ত দিঘা সহ উপকূলীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এই দুদিন যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে বারবারই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
কোচি উপকূলে যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার থেকে নামল নৌসেনা, ডেকেই ঘেরাও 'জঙ্গি'রা, দেখুন ভিডিও