বিজেপি রাজ্য় সভাপতি দিলীপ তো স্রেফ মুখে বলেছেন। হুগলিতে গরু নিয়ে ঋণ চাইতে সটান পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হলেন এক কৃষক! এমনকী, একটি বেসরকারি আর্থিক সংস্থার অফিসেও তিনি গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছেন। ওই কৃষকের সাফ কথা, 'গরু নিয়ে এসেছি। এর দুধে সোনা আছে। এটিকে বন্ধ রেখে ঋণ দিন।' ঘটনায় রীতিমতো হকচকিয়ে যান সকলেই। শেষপর্যন্ত বহু কষ্টে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ওই কৃষককে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।
হুগলির চণ্ডীতলার গরলগাছা গ্রামে থাকেন সুশান্ত মণ্ডল। পেশায় তিনি কৃষক। চাষের প্রয়োজনেই বাড়িতে কুড়িটি গরুও পুষেছেন সুশান্ত। গরুর দুধ বিক্রিও করেন। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সকালে দুটি গরু নিয়ে প্রথমে পঞ্চায়েত অফিসে যান সুশান্ত। তাঁর যুক্তি, 'আমি শুনেছি, গরুর দুধে নাকি সোনা আছে। আমার ২০টি গরু আছে। ভাবছি, এদের বন্ধ রেখে ঋণ নিয়ে আরও কয়েকটা গরু কিনব!' ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন হুগলির চণ্ডীতলার গরলগাজা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মনোজ সিং। তিনি বলেন, 'আমাদের পঞ্চায়েত অফিসে গরু বন্ধক রেখে ঋণ নিতে এসেছিলেন এক কৃষক। আমি তাঁকে বুঝিয়েছি, এভাবে গরু বন্ধ রেখে ঋণ পাওয়া যায় না। তখন বেসরকারি আর্থিক সংস্থার অফিসে যাচ্ছি বলে বেরিয়ে গেল।' জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরিয়ে বেসরকারি আর্থিক সংস্থার অফিসেও গিয়েছিলেন সুশান্ত। তাঁর কথা শুনে তো হকচকিয়ে যান সংস্থার আধিকারিকরা। কোনওরকমে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ওই কৃষককে ফেরত পাঠিয়ে দেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বর্ধমান টাউন হলে ঘোষ ও গাভী কল্যাণ সমিতির একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ভাষণে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আনা গরু নাকি আসলে 'গরু'-ই নয়। তাদের দুধে কোনও গুণ নেই। কিন্তু ভারতীয় গরু দুধে সোনা থাকে। তাই দুধের রঙও হলদেটে হয়। শুধু তাই নয়, দেশি গরুর কুঁজে নাকি স্বর্ণনাভি থাকে। নাভিতে সুর্যের আলো পড়লে সোনা তৈরি হয়! বিজেপি রাজ্য সভাপতি বক্তব্যকে ঘিরে হাসির রোল উঠেছে নেট দুনিয়ায়।