বেঙ্গালুরু থেকে বাংলাদেশিদের বিতাড়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারবেন সেরাজ্যে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর। বহরমপুরের সাংসদের বক্তব্য, 'বাংলাদেশের বাঙালি আর পশ্চিমবঙ্গে বাঙালির মধ্যে পার্থক্য বোঝার মতো পরিকাঠামো কর্ণাটকে নেই। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, অবিলম্বে কর্ণাটক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেরাজ্যে কর্মরত এ রাজ্যের বাঙালিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।'
বাংলার থেকে শ্রমিকরা তো যে শুধু কাশ্মীরেই কাজ করতে যান, এমনটা কিন্তু নয়। এ রাজ্য থেকে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। সত্যি কথা বলতে, রুটি-রুজির প্রয়োজনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেই ভিন রাজ্যের মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। অন্য রাজ্য থেকে বাংলায়ও কাজ করতে আসেন বহু আসেন। কিন্তু এ রাজ্য থেকে যাঁরা বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছেন, তাঁর রাতের ঘুম উড়েছে। বেঙ্গালুরুতে কর্মরত বাঙালি শ্রমিকদের অভিযোগ, কাজ পাওয়া তো দুর অস্ত, উল্টে বাংলার কথা বলতেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে চাকরি বরখাস্ত করা হচ্ছে তাঁদের। বস্তুত, পানাথুর, সারজাপুর, করমঙ্গলমের মতো বেঙ্গালুরু শহরের অভিজাত এলাকাগুলির বিভিন্ন আবাসনগুলি অঘোষিত সমন জারি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ ভারতের নামী সংবাদপত্র ডেকান হেরাল্ডের দাবি, ওই এলাকার আবাসনগুলিতে বাঙালিদের প্রবেশ কার্যত নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয়, যখন-তখন পুলিশি টহলদারিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত বাঙালি শ্রমিকদের।
জানা গিয়েছে, গত ৩০ অক্টোরর বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বেঙ্গালুরু থেকে ৬০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে বাঙালি দেখলেই বাংলাদেশি সন্দেহে বিদায় করে দিচ্ছেন বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন আবাসনের কর্তারা।