বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে তাণ্ডব এবং সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুর ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শনিবার হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে নন্দীগ্রামের হরিপুর থেকে টেঙ্গুয়া পর্যন্ত মহাপদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোর মণ্ডপে (Durga Puja Pandal) ভাঙচুর (Vandalized) চালানো নিয়ে আগেই মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবার সিএএ-র (Citizenship (Amendment) Act) পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সিএএ নিয়ে আগেই বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government)। আর এবার তার পক্ষেও সওয়াল করলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে তাঁর মন্তব্য এখন জোর চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে তাণ্ডব এবং সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুর ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শনিবার হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে নন্দীগ্রামের হরিপুর থেকে টেঙ্গুয়া পর্যন্ত মহাপদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন দেব -দেবীর সাজে মহাপদযাত্রায় (Rally) সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। এমনকী, খোল করতাল নিয়েও ওই পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। সেই পদযাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন শুভেন্দুও। পদযাত্রা শেষে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। আর ওই সভাতেই রোহিঙ্গাদের (Rohingya) ওপারে পাঠানোর কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন- মেলেনি আবাস যোজনার ঘর, ফিরহাদের সভায় যেতে বলায় নেতাদের তাড়া করলেন গ্রামবাসীরা
সভায় উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু বলেন, "বেড়া ডিঙিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের চুলের মুঠি ধরে ওপারে পাঠাতে হবে। এখানে সিএএ দরকার। জন্ম নিয়ন্ত্রণটাও দরকার।" এখন এনিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের পরেও রাজ্যের শাসকদল বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিবাদ না করায় এনিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাংয়ের যোগ, সিউড়িতে ধৃত ২ দুষ্কৃতী
এর আগেও বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। কখনও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে যে ঘটনার সুবিচার না হলে বাংলাদেশের জন্য পেট্রাপোল ও ফরাক্কার জল বন্ধ করে দেওয়া হবে। আবার কখনও এ রাজ্যের সরকারকে নিশানা করেছেন তিনি। এমনকী, একটি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি এও বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনার পরে তিনগুণ বেশি আসনে বিজেপি জিতবে। এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়। বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলই বাংলাদেশের ঘটনাকে নিয়ে এ রাজ্যের রাজনীতিতে ফায়দা তুলতে চাইছে বলে কটাক্ষ করেছিল সিপিএম। এই বিতর্কের মধ্যেই ফের বাংলাদেশের ঘটনা প্রসঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা গেল তাঁকে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ঘটনার জন্য মূল সন্দেহভাজন হিসেবে ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।