সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের হেল্পলাইনে বারে বারে ফোন করেও মেলেনি পরিষেবা। অগত্যা এক প্রসূতি মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটি গোয়াল ঘরে সন্তান প্রসব হয়।
সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের হেল্পলাইনে বারে বারে ফোন করেও মেলেনি পরিষেবা। অগত্যা এক প্রসূতি মাকে দীর্ঘ রাস্তা টোটোয় করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় কয়েকজন মহিলার সাহায্যে রাস্তার পাশে একটি গোয়াল ঘরে সন্তান প্রসব হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকায়।
আরও দেখুন, কোভিডে এখনও মৃত্যু থামেনি বাংলার ৫ জেলায়, শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা
তবে দুর্ভোগের এখানেই শেষ নয়, সন্তান প্রসবের প্রায় ঘণ্টাখানেক পর স্থানীয়দের সাহায্যে একটি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে মা ও সন্তানকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের বাইরে প্রসব হওয়ায় সেখান থেকে সদ্যজাতের জন্ম সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন সেখানে কর্তব্যরত নার্সরা। শুধু তাই নয়, কেন মা ও সন্তানকে এভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে সে বিষয়েও রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তাঁরা। তাঁদেরকে কোনও পরিষেবা না দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। অগত্যা সরকারি হাসপাতাল থেকে সঠিক পরিষেবা না পেয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে চুনাখালিতে এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে মা ও শিশুটির নাড়ি কাটার ব্যবস্থা করেন পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন মা ও সন্তান।
আরও পড়ুন, Jawhar Sircar: রাজ্যসভায় প্রাক্তন আমলা জহর সরকারকে মনোনীত করল তৃণমূল
গোসাবার পূর্ব রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা মিতা খন্ডিত শনিবার সকালে প্রসব বেদনা নিয়ে ছোট মোল্লাখালি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। কিন্তু তাঁর রক্তচাপ বেশি থাকার কারণে চিকিৎসকরা সেখানে প্রসব করানোর ঝুঁকি নিতে পারেননি। তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘ নদীপথ পেরিয়ে রোগীকে নিয়ে চুনাখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা। পথে আসার সময় বারে বারে সরকারি এম্ব্যুলেন্স পরিষেবার ১০২ নম্বরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোন এ্যাম্বুলেন্স পাননি তাঁরা। অবশেষে চুনাখালি থেকে ক্যানিং হাসপাতালের উদ্দেশ্যে টোটোয় করে রওনা দেন তাঁরা। পথে ফুলমালঞ্চের কাছে প্রসব বেদনা উঠলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মিতা। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে টোটো থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে একটি গোয়াল ঘরে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন, নিম্নচাপের জের, ঝাপিয়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে
সেখানেই স্থানীয় কয়েকজন মহিলাকে ডেকে এনে প্রসব করানো হয় তাঁকে। কিন্তু তবুও সরকারি এ্যাম্বুলেন্স না আসায় বাধ্য হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে ক্যানিং হাসপাতালে আসেন। কিন্তু সেখানে এলে কর্তব্যরত নার্সরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। গ্রামের মানুষ সরকারি হাসপাতালের নার্সের এহেন দুর্ব্যবহার দেখে চিকিৎসা না পাওয়ার ভয়ে ফের রোগীকে নিয়ে চুনাখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শেষ পর্যন্ত সেখানে এক গ্রামীণ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আপাতত মা ও সন্তানকে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস