Metro- গঙ্গায় প্রায় ১৫ মিটার নিচে ২ টানেল, শেষ পর্যায়ে এশিয়ার গভীরতম মেট্রো স্টেশন হাওড়া

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া মেট্রো স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে চলছে। এটাই এশিয়ার গভীরতম মেট্রো স্টেশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। 

Asianet News Bangla | Published : Oct 30, 2021 8:40 AM IST / Updated: Oct 30 2021, 02:44 PM IST

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East-West Metro) প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া (Howrah Metro Station) মেট্রো স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে চলছে। হাওড়া স্টেশনের মধ্যে এই স্টেশনের দৈর্ঘ্য ১১০ মিটার, চওড়া ৬৫ মিটার এবং গভীরতা ৩৩ মিটার। এটাই (Asia) এশিয়ার গভীরতম মেট্রো স্টেশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এই স্টেশন থেকে  দুটি টানেল রচনা এবং প্রেরণা গঙ্গার তলা দিয়ে বড় বাজার (Bara Bazar Area) এলাকায় উঠেছে।

আরও দেখুন, Bypoll Live Updates - রাজ্যের চার আসনে শুরু ভোটগ্রহণ, কড়া নিরাপত্তায় চার বিধানসভা  

সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার তুষার আচার্য্য জানিয়েছেন, গঙ্গায় প্রায় ১৫ মিটার নিচ দিয়ে যাওয়া দুটি টানেলের প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য প্রায়  ৫৫০ মিটার। এই দুটি টানেলের কাজ টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে ২০১৬ সালে শুরু হয়। ২০১৯ সালে এই কাজ শেষ হয়। এরপর স্টেশন তৈরীর কাজে হাত দেয় কেএমআরসিএল। স্টেশনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। মূল কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর্কিটেকচারাল কাজ, ইলেকট্রিক্যাল কাজ এবং ইন্টার্নাল কাজ কিছুটা বাকি আছে। সেই কাজই চলছে। যাত্রীসংখ্যার কথা বিবেচনা করে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে চারটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। ট্রেন প্লাটফর্মৈ ঢুকলে দু দিক দিয়েই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার রুখতে প্লাটফর্ম স্ক্রীনিং ডোর বসানো হয়েছে। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর তবেই এই স্লাইডিং ডোর খুলবে। তখনই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। পুরোটাই সেন্সর সিস্টেমের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাত্রীরা ৩৩ টি এস্কেলেটর এবং সাতটি লিফট দিয়ে ওঠানামা করতে পারবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১২ টি ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও ২০০ টি সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করা যাবে। স্টেশনের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে মেট্রো রেক দিয়ে ট্রায়াল রান শুরু হবে। ট্রায়াল রান সফল হলে ২০২২ সাল থেকেই চালু হতে পারে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী মেট্রো পরিষেবা।

আরও পড়ুন, By Election- শোভনদেবকে ঢুকতে দিতে বাধা, পাল্টা BJP প্রার্থীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান,উত্তপ্ত খড়দহ

সার্বিকভাবে দেখতে গেলে রাজ্যে মেট্রো অগ্রগতি দ্রুততর হয়েছে। একিদিকে বাংলায় মেট্রোর পথ প্রসারিত করার সঙ্গে সঙ্গে সকল মেট্রো রেককে শীততাপ নিয়ন্ত্রন করে দেওয়া হয়েছে।   রবিবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নিয়েছে কলকাতা মেট্রো নন এসি রেক। ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর দেশের মধ্যে প্রথম কলকাতাতেই মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছিল। তাই এই শুভজন্মদিনেই  বিদায় নিয়েছে  কলকাতা মেট্রোর সমস্ত নন এসি রেক।  প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে কলকাতায় প্রথম আসে এসি রেক। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এসি রেকের সংখ্যা। সকালে অফিস টাইমে তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসি রেক চালানো হত। কিন্তু এপ্রিলের দাবদাহে ননএসি রেকে উঠলে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠত। এদিকে অফিস টাইম ছাড়া এসি রেক পেতে সময়ও লাগত। তবে সেটা ২০০৯ থেকে ক্রমশ পরের দিকে বাড়তে শুরু করে এসি রেক। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতা মেট্রোর মোট ২৭ টি এসি রেক আছে। সারাদিন চালানোর জন্য এই সংখ্যাই যথেষ্ট বলে খবর।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

Share this article
click me!