সংক্ষিপ্ত
কোভিডের ডবল ডোজ না থাকলে ভোটারদের বুথে ঢুকতে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, অভিযোগ আনলেন খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এদিকে পাল্টা বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে গোব্যাক স্লোগানের অভিযোগ।
শোভনদেবকে ঢুকতে দিতে বাধা, উত্তপ্ত খড়দহ। কোভিডের ডবল ডোজ না থাকলে ভোটারদের বুথে ঢুকতে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force), অভিযোগ আনলেন খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (TMC Candidate Sovandeb Chattopadhyay) । এদিকে পাল্টা বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে (BJP Candidate Joy Saha) ঘিরে গোব্যাক (Goback Slogan) স্লোগানের অভিযোগ।
আরও দেখুন, Bypoll Live Updates - রাজ্যের চার আসনে শুরু ভোটগ্রহণ, কড়া নিরাপত্তায় চার বিধানসভা
শনিবার ভোট শুরুর পর থেকেই উত্তপ্ত খড়দহ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে প্রথমে বচসা বাধে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। কারণ তিনি গুরুতর অভিযোগ এনে বলেছেন, কোভিডের ডবল ডোজ না থাকলে ভোটারদের বুথে ঢুকতে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও পাল্টা অভিযোগ বিজেপির তরফেও। খড়দহের বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে ঘিরে গোব্যাক স্লোগানের অভিযোগ। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। কিন্তু, নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর এবার এই আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এদিন সকালেই ভোট দিলেন প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহা । খড়দহ সূর্যসেন হাইস্কুলে নন্দিতা সিনা ভোট দান করলেন ভোট দিতে এসে স্বামীর কথা মনে পড়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন। প্রসঙ্গত, এর আগে নির্বাচনে ভবানীপুর আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব। তখন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে জয়ী হন। কিন্তু, ফলাফল ঘোষণার পরই বিধায়ক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। ফলে ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনের প্রয়োজন ছিল। সেখানে প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্রে ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হয়েছে। আর সেখানে রেকর্ড ভোটে জয়ী হন মমতা।
আরও পড়ুন, By Election- দিনহাটায় BJP প্রার্থীর সঙ্গে বচসা তৃণমূলের, ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের বুলটিন অনুযায়ী পুজোর আগের কোভিডের সংক্রমণ কমে আসায় উপনির্বাচন নিয়ে একাধিকবার কমিশনে গিয়ে তৃণমূল। কারণ ভবানীপুর নির্বাচন ছিল অন্যতম কারণ। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে ভোটে হেরে যাওয়ার পরে মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্ব রাখা নিয়ে বড় ইস্যু হয়ে পড়ে। এদিকে ৬ মাসের মধ্য়ে উপনির্বাচন না হলে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরেও উলটপূরাণ হত। এদিকে কোভিডকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রথম থেকেই তাই বরাবর এই উপনির্বাচনের বিরোধিতা করে এসেছে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। যদিও শেষ অবধি তা হয়নি। ইতিমধ্য্ই রাজ্যের ৩ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে ফের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ২০১১ এর পর এই প্রথম সমস্ত রেকর্ড ভেঙে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ভোট পেয়েছেন ভবানীপুর নির্বাচনে। এহেন পরিস্থিতিতে চব্বিশের আগের মান রাখতে বড় লড়াইয়ের মুখোমুখি বিজেপি।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে