উপনির্বাচনে বিজেপি হাওয়া অনেকটাই কম লক্ষ্য করা গেল এই রাজ্যে। মোটের ওপর এই রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। পাল্টা কিছুটা হলেও অক্সিজেন পাচ্ছে বামেরা।
উপনির্বাচনে (Byelection) বড় সাফল্য তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। চারটে আসনের চারটেতেই জয়লাভ করেছে ঘাসফুল শিবির। আর এই জয়লাভের মধ্যেই বিজেপির (BJP) থেকে দুটি আসন ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তিপুর (Shantipur)বিধানসভা উপনির্বাচনে ৬৩,৮৯২ ভোটে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী (Brojrkishor Goswami)। তিনি হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসকে (Niranjan Biswas)।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সারকার। তিনি রাণাঘাটের সাংসদ। সাংসদ পদেই থাকবেন তিনি। সেই কারণে ছেড়েদিয়েছিলেন বিধায়ক পদ। তাতেই শান্তিপুর কেন্দ্রে আবারও ভোট গ্রহণ করা হয়ে। কিন্তু এই কেন্দ্রে জয়ের ধারা আব্যাহত রাখতে পারল না গেরুয়া শিবির। ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অজয় দে-কে ১৫৮৭৮ ভোটে পরাজিত করেছিল। কিন্তু এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর অনেকটা পিছনে থেকে লড়াই শেষ করে বিজেপি।উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ১১০৯০৭। বিজেপি প্রার্থী নিররঞ্জন ভোট যুদ্ধ শেষ করেন ৪৭ হাজার ১৫টি ভোট পেয়েছ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সৌমেন মাহাতো। এই বাম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৩৯, ৬৭৪।
Record GST collection: জিএসটি সংগ্রহে রেকর্ড, পশ্চিমবঙ্গ ছাপিয়ে গেল গত অক্টোবরকেও
সব মিলিয়ে উপনির্বাচনে বিজেপি হাওয়া অনেকটাই কম লক্ষ্য করা গেল এই রাজ্যে। মোটের ওপর এই রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। পাল্টা কিছুটা হলেও অক্সিজেন পাচ্ছে বামেরা। যাই হোক ২৯৪ আসনের রাজ্য বিধানসভায় একমাত্র বিরোধী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল বিজেপি। কারণ মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বাম কংগ্রেসের জোটসঙ্গি আইএসএফ। তবে বিধানসভা ভোটের পর দলবদল আপ বিধায়ক পদ ছেড়ে যাওয়ার হিড়িকি বিধানসভায় আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপি সূত্রের খবর বিধানসভা ভোটের পর ৭৩-৭৪ জন বিধায়ক নিয়ে দৌড় শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বর্তমানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার ঠেলা ক্রমশই কমছে বিধায়ক সংখ্যা। পাশাপাশি সাংসদই লোকসভায় যেতে আগ্রহী। সেই কারণে তারা বিধায়ক পদ ভোটের পরপরই ছেড়ে দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক সংখ্যা কমতে কমতে ৬৩-৬৫-র মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ের জন্য দলীয় প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন রাজ্যের মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। আর সেই কারণেই তৃণমূলের ফলাফল ভালো হয়েছে।