Duare Sarkar- মুর্শিদাবাদবাসীর মন জয়ে দ্বিতীয় দফায় দুয়ারে সরকার ঘোষণা

জেলার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি মুর্শিদাবাদে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়েছিলেন। 

Parna Sengupta | Published : Nov 2, 2021 7:19 AM IST

দীপাবলির (Dipabali) মুখে 'সুখবর' মুর্শিদাবাদবাসীর (Murshidabad) জন্য। দ্বিতীয় দফায় জেলায় চালু হতে চলেছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প। যদিও রাজনৈতিক মহলের অনুমান, 
লোকসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে নিজেদের ভিত পাকাপাকিভাবে মজবুত করতেই এই কৌশল। সেক্ষেত্রে নবান্নের (Nabanna) নির্দেশ মেনে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত কথা ঘোষণা করলো জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সেই খবর চাউর হতে জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি মুর্শিদাবাদে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়েছিলেন। 

সেই কারণে আবার এই কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো এদিন। নভেম্বর মাসে জেলাজুড়ে পাঁচদিন ধরে ক্যাম্প করা হবে। প্রথমে নভেম্বর মাসের ২ ও ৩ তারিখ ক্যাম্প করা হবে, পরে ৮ ও ৯ তারিখ ক্যাম্প হবে। রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী সহ সমস্ত প্রকল্পের জন্য ক্যাম্পগুলিতে আবেদন করা যাবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রকল্পের ২৩ লক্ষ্যের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তারমধ্যে খাদ্যসাথী প্রকল্পে ১ লক্ষ ১০ হাজারের উপরে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ৩ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। এই প্রকল্পের জন্য ১৫ লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক সিরাজ দানেশ্বর সাংবাদিকদের বলেন, সমস্ত ব্লকে এই কর্মসূচি হবে। জেলার বাসিন্দারা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। কবে কোন এলাকায় ক্যাম্প হবে, তা  জানিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরাও তা নিয়ে প্রচার করছেন"। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভোটের জন্য হঠাৎ করে ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই একাধিক প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেননি। তাদের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে। 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনকারীদের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। প্রথম ধাপে ১০ লক্ষের বেশি মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। পরবর্তীকালে বাকিরাও টাকা পাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকায় বেশকিছু মহিলার অ্যাকাউন্টে প্রথমে দিকে টাকা ঢোকেনি। যদিও এই কার্ড না থাকলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকার নিয়েছে। 

জেলার অনেকেরই এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়নি। নভেম্বর মাসে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিগুলিতে তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরিতে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে দীপাবলি আগে খুশির হাওয়া তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই দাওয়াই কতখানি কাজ হয় ভোটবাক্সে। সে দিকে চেয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

Share this article
click me!