একদিনেই মূর্তি তৈরি রঙ দেওয়া তারপর সাজানো। কাঁচা অবস্থাতেই কার্তিক পুজো হয় পুরুলিয়ায়। বংশ পরম্পরায় শিল্পী পরিবারের হাতে তৈরি হয় কাঁচা কার্তিক। এই কার্তিক পুজো কতদিন পূর্বে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে শোনাযায় আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থানার তালবেড়িয়া গ্রামে গৌরীচরণ শান্তিকারী পুত্র সন্তানের কামনায় কার্তিক পুজো শুরু করেন। তবে এখানকার কার্তিক কাঁচা কার্তিক। পুজারী গ্ৰামেরই শান্তিকারী ব্রাহ্মণ। গ্রামের মহিলারা পুত্র সন্তান কামনায় মানত করেন এখানে দুয়ার ধরে। মানতের মূল উপকরণ ধুতি, চাদর, ঢাক। মুরুলিয়া গ্ৰামের সমীর ও তপন ভ্রাতৃদ্বয় কার্তিক ঠাকুর নির্মাণ করেন। এই কাজ ওরা পূর্বপুরুষ ধরে করে আসছেন। কোনো পারিশ্রমিক নেন না তবে মানতের সব পাওনা ধুতি চাদর পান এই শিল্পীরা। বহু বছর আগে শান্তকারীদের মৌজা কাশীপুর থানার রাজড়া ভাটডি, ভহুলকোকা ও বাঁকুড়ার ভালুকা গ্ৰামের জমির আদায় থেকে পুজোর খরচ চলত। একসময় তালবেড়িয়া গ্রামের কার্তিক পুজোয় পঞ্চ গ্ৰামের মানুষ অংশ গ্ৰহন করতেন। দু'দিন ধরে গ্রামে অনুষ্ঠান হয়, যাত্রা ও নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।