সংক্ষিপ্ত
- সরকারি আধিকারিকের ওপর বেনজির হামলা
- কোপান হল ইউএনও ও তাঁর বাবাকে
- সরকারি বাসভবনে ভোররাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা
- শৌচালয়ের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢোকে
এযেন দিনেদুপুরে জঙ্গলরাজ। একেবারে সরকারি বাসভবনে ঢুকে নির্বাহী কর্মকর্তাকে কোপাল দুষ্কৃীতার। বাদ গেলেন না তাঁর বাবাও। ঘটনাস্থল বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলা। এখানকার ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বা ইউএনও ওয়াহিদা খানমমের উপর তাঁর সরকারি বাসভবনেই হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। আহত ইউএনও-কে প্রথমে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এই হামলার ঘটনায় ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাবাও গুরুতর আহত হয়েছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ ইউএনওর সরকারি বাসভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যাচ্ছে, ইউএনওর বাসার শৌচালয়ের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা ঢুকে পড়ে। ইউএনও তা টের পেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। সেই সময় তাঁর বাবা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়।
ভোররাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়েই দিনাজপুর জেলার প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর জেলার পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত আছেন। ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে তাণর বাবা ওমর আলী থাকতেন।
বিষয়টি নিয়ে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার প্রাথমিক ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। ঠিক কী কারণে এমন হামলার ঘটনা ঘটলো- তা এখনো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে বাংলাদেশের উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ একজন কর্মকর্তার উপর এ ধরণের হামলা নজিরবিহীন।