সংক্ষিপ্ত
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল এই এক মিনিট দেশের সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি - সমস্ত অফিসেই আলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। চাইলে আসাবিক এলাকার বাসিন্দারও এই কর্মসূচিতে যোগদিতে পারেন। এই এক মিনিট কোথায় আলো না জ্বালানোর আবেদন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার এক মিনিটের জন্য পুরোপুরি অন্ধকার থাকবে বাংলাদেশ (Bangladesh)। শুক্রবার রাত (Firday Night) ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত স্তব্ধ হয়ে যাবে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ। গোটা দেশে প্রতীকী ব্যাক আউট (Black Out)পালন করা হবে। ঢাকা প্রশাসন দেশে জানান হয়েছে আগামিকাল ২৫ মার্চ। এই দিনেই বাংলাদেশের আকাশে নেমে এসেছিল অন্ধকার। ১৯৭১ এর গণহত্য়ার ভয়ঙ্কর দিন এটি। সেই কারণ স্মরণ করেই আগামিকাল 'কালরাত্রি' পালন করা হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল এই এক মিনিট দেশের সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি - সমস্ত অফিসেই আলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। চাইলে আসাবিক এলাকার বাসিন্দারও এই কর্মসূচিতে যোগদিতে পারেন। এই এক মিনিট কোথায় আলো না জ্বালানোর আবেদন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী ও হানাদাররা পূর্ব পরিকল্প ভাবেই অপারেশন সার্চ লাইট চালু করেছিল। এই মাধ্যমে বাংলাদের মানুষের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য গোটা দেশেই পাক বাহিনী নিরস্ত্রদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছিলে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা আন্দলোন স্বব্ধ করার জন্য এই কর্মসূচি নিয়েছিল পাকিস্তান। সেইরাতে গোটা দেশজুড়ে চলেছিল গণহত্যা।
পাক বাহিনীর এই অত্যাচারের পরই সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমনকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও গ্রেফতারির আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশীরা স্বাধীনতার যুদ্ধে সামিল হয়। টানা ৯ মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। চলতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ৫০ বছরের পড়ল। তাই বিশেষভাবে পালন কালো দিনটিকে স্মরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে হাসিনা প্রশাসন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল ভারত। সেই সময় ভারতের তিন বাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশী শরণার্থীদের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে পূর্ণ সমর্থণ জানিয়েছে দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেই কথা স্মরণ করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যৌথ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ঢাকা সফরেও গিয়েছিলেন গতবছর। গতবছর থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে।
বাগটুইয়ের বিড়ম্বনার মধ্যেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াল ইডি, আবার তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে
শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আলোচনা হল প্রায় ৯০ মিনিট