সংক্ষিপ্ত

  • ডেঙ্গুর জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ
  • এবার ফের একবার মশাবাহিত রোগের প্রকোপে পড়ল সেদেশ
  • ভাইরাসটির নাম 'ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস'
  • ভাইরাসের সূত্র এখনও অধরা

ডেঙ্গুর জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ। আর এবার ফের একবার মশাবাহিত রোগের প্রকোপে পড়ল সেদেশ। ভাইরাসটির নাম 'ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস'। এখনও পর্যন্ত কতজন এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রামিত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল কোথায়, তা নিয়ে সরকারের তরফেও এখনও কোনও অনুসন্ধান শুরু করা হয়নি। 

এই ভাইরাস নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞানী ও গবেষক ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস বাংলাদেশে নতুন। বাংলাদেশের দ্যা ইন্টারন্যশনাল ইউটেরাইন রিসার্চ সেন্টার (আইসিডিডিআরবি) এই ভাইরাসটি এক ব্যক্তির দেহে আবিস্কার করেছে। সূত্রের খবর,আইসিডিডিআরবি-র তরফে দেড় সপ্তাহ আগে কমপক্ষে তিনটি সরকারি দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছিল। কিন্তু এই প্রসঙ্গে তাঁরা কোনও তথ্য দেননি বলেই জানা গিয়েছে। 

তবে এক পরামর্শদাতার কথায় যে ব্যক্তির শরীরে ওই ভাইরাসটি পাওয়া গিয়েছে, তিনি যেখানে বসবাস করেন, সেসব জায়গায় অভিযান চালালে হয়তো আরও বেশকিছু মানুষের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। 

আরও পড়ুন- আগুন নেভাতে নয়া কৌশল, দমকলের হাতে এল অত্যাধুনিক ফায়ার বল, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন- গত ১১১ বছরে এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়নি, বর্ষাশেষে এই রাজ্য প্রত্যক্ষ করল রেকর্ড বর্ষণ

আরও পড়ুন- খোলা স্থানে শৌচকর্ম, পিটিয়ে মেরে ফেলা হল দুই দলিত শিশুকে, পুলিশের জালে অভিযুক্ত

আরও পড়ুন- প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, তবে কি আবার ফিরবে সুনামির ভয়াবহতা

অজানা এই ভাইরাস প্রসঙ্গে বিস্ময়কর তথ্য় প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। হু-এর কথায়, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মূলত পশুর শবদেহে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। মুলত মশা দ্বারাই বাহিত হয় এই রোগ। এই ভাইরাস সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করে, যার যেরে মানুষের মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে কোনও লক্ষণমাত্র নেই। বিশেষ করে ঘোড়া মারা যাওয়ার পর ঘোড়ার শরীরে এই ভাইরাসের আক্রমণ ঘটে সবচেয়ে বেশি।