সংক্ষিপ্ত

সুকন্যাকে সোজাসুজি শোওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাপ্পা। অভিনেত্রী রাজি না হতেই উদাহরণ দিয়েছিলেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের!

বাংলার পরিচালকেরাও নাকি অশ্লীলতা দোষে দুষ্ট! জানেন? টলিউডেও নাকি একাধিক ‘সাজিদ খান’ লুকিয়ে! চেনেন তাঁদের? শুক্রবার তেমনই এক ‘সাজিদ খান’-এর সঙ্গে পরিচয় করালেন ছোট পর্দার চেনামুখ সুকন্যা দত্ত। ফাঁস করলেন, অতি সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া #মিটু কেলেঙ্কারি কথা! কী হয়েছিল সুকন্যার সঙ্গে? জানতে এশিয়ানেট নিউজ যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। কোনও রাখঢাক না রেখেই জানিয়েছেন তিনি।

ঘটনার সবিস্তার সুকন্যার বয়ানে--‘‘বাপ্পা বি-কে চিনতাম না। পরিচালক নিজেই যোগাযোগ করেন। বলেন, তিনটি ছোট ছবিকে এক করে একটি বড় ছবি প্রেক্ষাগৃহের জন্য বানাতে চান। আমাকে একটি ছবির জন্য ভেবেছেন। কিছু দিন ধরেই বড় পর্দায় পা রাখার কথা আমিও ভাবছি। তাই প্রস্তাবে খুশিই হলাম। ফোনে কয়েক বার কথার পরে বাপ্পা মুখোমুখি বসার প্রস্তাব দিলেন। প্রথমে শ্যামবাজারের একটি রেস্তরাঁয়। তার পর সিঁথির মোড়ে। গিয়েছিলাম দেখা করতে। প্রথম দিন কথাবার্তার পর বেশ ভাল লাগল। পরের দিন চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনায় বসব আমরা, বলেছিলেন বাপ্পা। আমি সানন্দে রাজি। আমারও একটি নিজস্ব রেস্তরাঁ আছে। সময়টা পুজোর দিন দশেক আগে। আমি তখন রেস্তরাঁ নিয়ে ব্যস্ত। তাই দ্বিতীয় দিনে সেখানেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। বাপ্পা রাজি হলেন না। তাঁর কথা মেনে পৌঁছলাম উত্তর কলকাতার একটি রেস্তরাঁয়। 

 

প্রথম দিন থেকেই দুটো জিনিস আমার অস্বস্তির কারণ। এক, কথায় কথায় যৌন শব্দের ব্যবহার। দুই, বাপ্পা হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন। যাতে রেকর্ডিং করা না যায়। যাই হোক, দ্বিতীয় দিনে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ল। চিত্রনাট্য শুনিয়ে বললেন, আগে সাহসী দৃশ্যের মহড়া দিতে হবে তাঁর সঙ্গে! এক দিন নয়, একাধিক দিন। সেই মহড়ায় পাশ করলে তবে সুযোগ পাব। অর্থাৎ, সোজাসুজি তিনি তাঁর সঙ্গে বিছানায় শোওয়ার প্রস্তাব দিলেন। আমি নারাজ। তখন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে বললেন, ‘বাসব অনায়াসে আমার সঙ্গে এই ধরনের মহড়ায় অংশ নেয়। তুমি পারবে না!’’ সে দিন সুকন্যা সাফ জানিয়েছিলেন, সবাই শুতে পারে না। অন্তত তিনি পারেন না। তাঁর স্বামী আছে, সংসার আছে। বাপ্পা শুনে নাকি বিদ্রূপ করে বলেছিলেন, ‘‘তুমি শুতে পার না! সঙ্গমে অক্ষম? তা হলে কাজ পাবে কী করে?’’ সুকন্যাকে সে দিন রাতে কথায় কথায় নাকি আটকে রাখতেও চেয়েছিলেন। জোর করে বাপ্পা তাঁকে তাঁর স্কুটিতে বসান। পাঁচ মিনিটের পথে বার পাঁচেক নাকি এত জোরে ব্রেক কষেন যাতে সুকন্যা তাঁর গায়ে এসে পড়েন!

কী বলছেন বাপ্পা? সুকন্যার অভিযোগ সত্যি? পরিচালকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি বাপ্পার দাবি, ‘‘সুকন্যা আমার আগামি ছবিতে কাজ করবেন। তেমনই কথা হয়েছিল। পরে ওঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে আমার সংশয় জাগে। ওঁকে ভাল প্রতিষ্ঠানে নিজেকে আরও একটু ঘষেমেজে নেওয়ার প্রস্তাবও দিই। হয়ত কাজের সুযোগ হাতছাড়া হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন।’’ রেস্তরাঁয় বসা, হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা বলার প্রসঙ্গ সযত্নে এড়িয়ে যান তিনি।  সাহসী দৃশ্যে মহড়া প্রসঙ্গে বাপ্পা অভিনেত্রী বাসবদত্তার নাম জড়িয়েছেন। এটাও কি মিথ্যে? প্রশ্নের জবাবে পরিচালকের বক্তব্য, ‘‘আমার একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন বাসবদি। আমি কখনও ওঁর নামে এ রকম মিথ্যে অপবাদ দিতে পারি?’’ পাশাপাশি, সুকন্যার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করতে চলেছেন তিনি। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানিয়েছেন, শনিবারই হয়তো আইনি নোটিস পৌঁছে যাবে অভিনেত্রীর কাছে। যার প্রতিলিপি তিনি জমা দেবেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও।