সংক্ষিপ্ত
- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে দেবজ্যোতি
- স্মৃতির পাতায় একাধিক ছবি
- গানে মিউজিকে ভরে উঠল সন্ধ্যা
- সহযোগে রূপঙ্কর,ইমন,দুর্নিবার
নেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, এই সত্যিটাই মেনে নিতে নারাজ এখনও সকলেই। চোখের জলে ভেসে বিদায় জানানো কিংবদন্তী অভিনেতাকে, ২০২০ এভাবেই কেড়ে নিয়ে গিয়েছে বাঙালি তথা সিনেদুনিয়ার লেজেন্ড সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। দিকে দিকে স্থানে স্থানে সেই ভার্সেটাইল অভিনেতার গুণগানেই ভরে উঠছে স্মরণসভা, ভরে উঠছে মানুষের চোখের কোল। সম্প্রতি এমনই এক স্মরণসভায় আবেগঘন হয়ে পড়লেন সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র।
প্রথম দেখা থেকে শুরু করে শেষ সময় অভিনেতার সঙ্গে কাজ। স্মৃতির পাতায় জ্বল জ্বল করে উঠল সবই। পলকে সৃষ্টি হল এক ভিন্ন আমেজের সৌমিত্রময় সন্ধা। সৌমিত্র পুত্র সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরেই বাড়িতে প্রথম প্রবেশ। আলাপ হওয়া সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপর দেবজ্যোতির মিউজিক মনে ধরে অভিনেতার। প্রশংসা করেছিলেন কিং লিওয়র-এর মিউজিক শোনার পর। সুরকারের স্মৃতিতে ভেসে আসে গায়ক সৌমিত্র কথাও।
ময়ুরাক্ষী ছবিতে গান গাইবার অনুরোধ করা হয়েছিল সৌমিত্রবাবুকে। তিনি ছিলেন নারাজ। কিন্তু খানিক অনুরোধের পরই গান ধরেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই গান তৈরি। তাঁর অভিনয় থেকে শুরু করে তাঁর কলম, খানিক ছৌঁয়াতেই যেন সৃষ্টি হয়েছে কালজয়ী শিল্পী। আর সেই শিল্পসত্ত্বাকে স্মরণ করতেই সম্প্রতি এক স্মরণিকাতে হাজির হলেন দেবজ্যোতি,সঙ্গী হলেন রূপঙ্কর,ইমন,দুর্নিবার সহ আরো অনেক বিশিষ্ট শিল্পীরা। যেখানে দেবজ্যোতি বলেন- "সৌমিত্র বাবুর জার্নি সুরের পথ ধরে এক সন্ধ্যায় পরিবেশন করা খুব একটা সহজ কাজ ছিলনা।আমরা চেষ্টা করেছি ওঁর সাঙ্গীতিক সফরকে গানে,সুরে তুলে ধরতে।সেখানে অপুর থিম থেকে পাতালঘর,ময়ূরাক্ষীর থিমে গলা মিলিয়েছেন সব শিল্পীরা।ছোট্ট চেম্বার অর্কেস্ট্রা সহযোগে এক অন্যরকম সাউন্ডস্কেপ পরিবেশন করলাম সৌমিত্রের স্মরণে।"