সংক্ষিপ্ত
শিবপ্রসাদের কথায়, ‘‘২০১৪-র ছবি ‘রামধনু’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি। সেখানে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তিনি মহা তারকা। ২০১৮-র ছবিতেও তারকা কম ছিলেন না। কিন্তু প্রত্যেকেই ছিলেন চরিত্র অনুযায়ী। ছবির জৌলুস বাড়াতে নয়।’’
টলিপাড়ায় গুঞ্জন, ২০১৮-র ‘হামি’র থেকেও ২০২২-এর ‘হামি’ নাকি বেশি জবরদস্ত?
মঙ্গলবার সকালে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থা তাঁদের বড় দিনের ছবির মিউজিকাল ট্রেলার প্রকাশ্যে এনেছে। তার পরেই এমন গুঞ্জন। কেন? দুটো ছবির ট্রেলার বলছে, প্রিক্যুয়েলেও টলিউডের তাবড় তারকারা ছিলেন। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গার্গী রায়চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, তনুশ্রী শঙ্কর, নীল মুখোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার এবং আরও অনেকে। এ বারে খোদ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছবির মূল আকর্ষণ! পাশাপাশি, এক দম ভিন্ন চরিত্রে এই প্রথম দেখা দেবেন অঞ্জন দত্তও। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবিজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রবীণ পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী, তনুশ্রী চক্রবর্তী, মনামী ঘোষ তারার মতোই ঝিকমিক করবেন।
সত্যিই ‘হামি ২’, ‘হামি’র থেকেও বেশি তারকাখচিত? প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। আসন্ন ছবিতে তিনি ‘লাল্টু মণ্ডল’। শিবপ্রসাদের কথায়, ‘‘২০১৪-র ছবি ‘রামধনু’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি। সেখানে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তিনি মহা তারকা। ২০১৮-র ছবিতেও তারকা কম ছিলেন না। কিন্তু প্রত্যেকেই ছিলেন চরিত্র অনুযায়ী। ছবির জৌলুস বাড়াতে নয়। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বুম্বাদা আমাদের ‘হামি’ বহু বার দেখেছেন। এবং প্রত্যেক বার দেখার পরে আমাদের জানিয়েওছেন। একই ভাবে আছেন অঞ্জন দত্তও। আমাদের বিশ্বাস, তাঁর অভিনীত ‘নিতাই জ্যাঠা’কে দেখতেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসবেন। এই চরিত্র কেবল ওঁকেই মানায়।’’
এই প্রথম অঞ্জন ছক ভেঙে ভিন্ন ঘরানার ছবিতে। তাঁর অভিনীত চরিত্রও ঘরোয়া। কেমন লাগল তাঁকে পরিচালনা করে? শিবপ্রসাদের বক্তব্য, ‘‘নয়ের দশকে ছোট পর্দার একটি ধারাবাহিক ‘স্বপ্ন নিয়ে’র পরিচালক ছিলেন অঞ্জনদা। আমি অভিনেতা। ‘হামি ২’ সেই স্মৃতি উসকে ছবিটাকেই বদলে দিল। এ বার আমি পরিচালক এবং সহ-অভিনেতা। অঞ্জনদার রাজত্ব ছবিজুড়ে। অনবদ্য অনুভূতি। বলে বোঝানোর নয়। ওঁর মতো পরিচালককে ফ্রেমবন্দি করা সবার স্বপ্ন। আমারও তাই ছিল। এই ছবি সেই স্বপ্ন পূরণ করে দিল।’’
পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী বহু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন। নিজে কখনও ক্যামেরার মুখোমুখি হননি। কী করে সেই অসম্ভবও সম্ভব হয়েছে? এর আগে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রবীণ পরিচালক জানিয়েছেন, বুম্বাদার অনুরোধে নয়ের দশকের একটি ছবিতে তিনি অতিথি শিল্পী ছিলেন। তার ৩০ বছর পরে আবারও একই ভূমিকায়। এই ছবিতে তিনি একটি রিয়্যালিটি শো-এর বিচারকের ভূমিকায়। এত বছর পরে আবার কেন অভিনয়ে ‘হ্যাঁ’ বললেন? হরনাথের যুক্তি, নন্দিতা-শিবুর সঙ্গে তাঁর ঘরোয়া সম্পর্ক। ওঁদের কাজ তাঁর খুবই ভাল লাগে। ওঁদের ব্যবহারও। তাই পরিচালকজুটি অনুরোধ জানাতেই তিনি আর ‘না’ করতে।
আরও পড়ুন-রেখার সঙ্গে চরম ঘনিষ্ঠতায় মত্ত অমিতাভ,অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া