সংক্ষিপ্ত
কালার্স বাংলায় ‘রান্নাঘরের গপ্পো’। তাতে ৫০০ বছর পুরনো রান্নার ঘ্রাণ। ১৭ অক্টোবর থেকে হাতা-খুন্তি নাড়বেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী! নতুন ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত ‘রাজকাহিনী’র ‘জুহি’?
একেবারে নতুন সাজে, একদম নতুন ছাঁদে সুদীপ্তা চক্রবর্তী! শাড়ি, গয়নায় মোড়া। হাতখোঁপায় জুঁইয়ের মালা। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রাজকাহিনী’র ‘যূথিকা’ বা ‘জুহি’ এই প্রথম সনাতনী। এ ভাবেই বহু বছর পরে আবারও ছোট পর্দায়। সঞ্চালকের ভূমিকায়। ১৭ অক্টোবর থেকে রোজ বিকেল ৫টায় কালার্স বাংলার ‘রান্নাঘরের গপ্পো’-তে হাতা-খুন্তি নাড়বেন।
চ্যানেলের পাতায় শো-এর প্রচার ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল অভিনেত্রী। দর্শকেরাও তাঁর নতুন রূপে মুগ্ধ। খুশি সুদীপ্তা? জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। রাত সাড়ে ১০টা। শো-এর শ্যুট শেষ করে গাড়িতে বাড়ির পথে তিনি। রোজ ৪-৫টি পর্ব শ্যুট হচ্ছে। এর মধ্যেই কম-বেশি ২৬টি পর্ব ক্যামেরাবন্দি করা হয়ে গিয়েছে। কথায় কিন্তু ক্লান্তির আভাষ নেই! চনমনে গলায় সুদীপ্তার দাবি, ‘‘আমি অবশ্যই খুশি। ছোট পর্দার এই নতুন ভাবনা বেশ ভাল লেগেছে। বলতে পারেন, স্বাদবদল ঘটছে। কত ধরনের মানুষের সঙ্গে আলাপ হচ্ছে। আর সঞ্চালনা আমার বরাবরের প্রিয়। পুরো কৃতিত্বই কালার্স বাংলা চ্যানেলের।’’
সুদীপ্তাকে নতুন রূপে হাজির করতে গিয়ে তাঁকে ঘরোয়া ইমেজে বন্দি করে ফেলেছেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ! তাই নিয়ে যদিও মাথাব্যথা নেই তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘এটাই তো স্বাভাবিক। হেঁশেল, হাতা-খুন্তি যাঁরা সামলান তাঁরা সাধারণত এমন আটপৌরেই হন। অন্তত বাঙালির তেমনই ধারণা। আমি কিন্তু উপভোগ করছি।’’ কিন্তু তাঁর এই সাজ যে মনে করিয়ে দিচ্ছে জি বাংলার ‘সুদীপার রান্নাঘর’ বা স্টার জলসায় অপরাজিতা আঢ্য-র ‘রান্নাবান্না’কে! কোনও ভাবে কোনও প্রতিযোগিতা বা টক্কর? সুদীপ্তার ঠোঁটের গোড়ায় যেন জবাব জোগানো। একটুও না থমকে সপাট জবাব, ‘‘প্রশ্নই নেই। নানা রকমের কাজের চাপে আমার টিভি দেখা হয় না। ফলে, ওঁদের শো সে ভাবে দেখতে পারিনি। তার পরেও বলব, ওঁরা ওঁদের জায়গায় যথেষ্ট পোড় খাওয়া। সুদীপা তো হাজার হাজার পর্ব করে ফেলেছে। আমি সেখানে নতুন। বরং সঞ্চালনায় আটকে গেলে ওঁর কোনও একটা পর্ব দেখে নেব।’’ তার পরে মৃদু গলায় জানালেন, দিনের শেষে সব ক’টিই রান্নার শো। তাই খুঁজলে হয়তো সাজে, আচরণে সামান্য সাদৃশ্য পাওয়া যাবেই।
এ সব দিকে মাথা না ঘামিয়ে আপাতত রান্নায় নিবেদিত প্রাণ সুদীপ্তা। রকমারি রান্না দেখছেন। পছন্দসই রান্নার রেসিপি মুখস্থ করে নিচ্ছেন। বললেন, ‘‘শাপলা-চিংড়ির বড়ির ঝাল শুনে আমিই থ! শাপলাও যে রান্নার উপকরণ, সেটাই জানা ছিল না। এ রকমই ২০০, ৫০০ বছরের পুরনো রান্না আর তার গপ্পো জানতে, শুনতে পাবেন আমার হেঁশেলে।’’ রান্নার ফাঁকে সমান তালে নাকি মুখও চলছে তাঁর! ভাল রান্না চেখে দেখার লোভ সামলাতে পারছেন না কিছুতেই। খাওয়ার পরেই ভয়, এ ভাবে চলতে চলতে শো-এর শেষে তিনি ফুলেফেঁপে ‘গোলুমোলু’ হয়ে যাবেন না তো?