সংক্ষিপ্ত
বাংলা গানের উত্তরণে যার নাম বারবার ফিরে আসে, তিনি অবশ্যই লতা মঙ্গেশকর। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে গুরুতর অসুস্থ হয়ে টানা ২০ দিনের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু তিন সপ্তাহ পার করেই আবারও বাড়ল উদ্বেগ, স্বাভাবিকভাবেই মেলোডি কুইনের আরোগ্য কামনায় রয়েছে সারা বাংলা।
বাংলা গানের উত্তরণে যার নাম বারবার ফিরে আসে, তিনি অবশ্যই লতা মঙ্গেশকর ( Lata Mangeshkar ) । উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে গুরুতর অসুস্থ হয়ে টানা ২০ দিনের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু তিন সপ্তাহ পার করেই আবারও বাড়ল উদ্বেগ। স্বাভাবিকভাবেই মেলোডি কুইনের আরোগ্য কামনায় রয়েছে সারা বাংলা।
'রঙ্গিলা বাঁশিতে কে ডাকে', এই গান রেডিওতে বাজলে তামাম বাঙালি আবেগপ্লুত হয়ে পড়ে আজও। বাংলা ছবিতে তাঁর গান থাকা মানে সেই ছবি হিট, তা বলাই যেতে পারে। ভাল রেকর্ডার কেনার টাকা সেসময় না থাকলেও মানুষের মনের গভীরে তিনি এখনও একইভাবে বিরাজ করেন। আজও তার গাওয়া গান নিয়েই তামাম বাঙালি ভোরে উঠে রেওয়াজে বসে। 'ভালোবাসার আগুন জ্বেলে কেনও চলে যাও' গেয়ে মঞ্চ কাঁপায় লতা কণ্ঠীরাও। সলিল সেন পরিচিত 'মণিহার' বাংলা ছবিতে সন্ধ্যা রায়ের লিপে মুক্ত হয়ে ঝরে লতার 'নিঝুম সন্ধ্যায়'। কিংবা 'শঙ্খবেলা' থেকে সুধীন দাশগুপ্তের সুরে, 'আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব', লতার এই গান শুনেও মায়বী যাদুতে পথ হেঁটেছে বাঙালি। এছাড়া 'বাঁশি কেন গায়' থেকে শুরু করে 'ও মোর ময়না গাঁও' সব গানেই আলাদা মেজাজে লতা মঙ্গেশকর। ১৯৭৩ সালের বাংলা ছবি সোনার খাঁচায় 'বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি', গানেও তিনি মোহিত করেছেন সবাইকে। বাংলাগানে মেলোডি কুইন তাঁর কণ্ঠ দিয়ে সবাইকেই ভাসিয়েইছেন। তবে তাঁর একটি গান অবশ্য অতিবিখ্যাত না হলেও সময়ের থেকে বেশি এগিয়ে প্রকাশ পেয়েছিল। যে গানটি বেশ অন্যরকম। লতা ভক্তরা গানটিকে সযত্নেই তুলে রেখেছেন। সেটা হল 'প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে।'
বিখ্যাত এই গায়িকার গান শুনতে মানুষ কী না করেছেন। নেতাজি ইণ্ডোরে লতার শো হলে অনেক আগেই তার টিকিট হাওয়া হয়ে যেত। এতটাই দ্রুত বিক্রি হত, যে অনেকেই জানতেই পারতেন না। তবে পশ্চিমবঙ্গে অসংখ্যবার স্টেজ পারফর্ম করেছেন লতা মঙ্গেশকর। গেয়েছেন মুক্ত মঞ্চেও। তখন অনেকেরই দেখার এবং শোনার সাধ মিটিছে। প্রসঙ্গত, গুরুতর অসুস্থ হয়ে টানা ২০ দিনের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। পাঁচ সদস্যে চিকিৎসকদের বিশেষ টিম কয়েকদিন আগেই স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, বর্তমানে ভালো আছেন লতা মঙ্গেশকর। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। কিন্তু তিন সপ্তাহ পার করেই আবারও বাড়ল উদ্বেগ। তাই কোনও রকমের ঝুঁকি না নিয়েই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে তাই লতা মঙ্গেশকরের আরোগ্যকামনায় সারা বাংলা তথা দেশ।