সংক্ষিপ্ত
- টলি ইন্ডাস্ট্রির স্বজনপোষণ নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটালেন টলি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র
- এক দশকেরও বেশি সময় ধরে টলিউডকে টেনেছিলেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি
- প্রসেনজিৎ-ঋতু জুটিকে নিয়েই এবার নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন শ্রীলেখা
- নিজের অযোগ্যতাকে ঢাকার জন্যই শ্রীলেখা পুরো ইন্ডাস্ট্রির বদনাম করছে বলেছে দাবি উঠেছে
টলি ইন্ডাস্ট্রির স্বজনপোষণ নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটালেন টলি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। টলিপাড়ার কালো দিক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা। নিজের কেরিয়ার শুরুর কথা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। প্রথমদিকে কোনও নায়িকার চরিত্র পাননি, আর কেন পাননি তাও জানিয়েছেন শ্রীলেখা। এই নিয়ে রণযুদ্ধ শুরু হয়েছে টলিপাড়ার। একের পর অভিনেতারা এবার সামিল হচ্ছেন এই যুদ্ধে। অনেকেই আবার নিজেদের নাম না নিয়ে একাধিক মন্তব্য জুড়ে দিয়েছেন।
সালটা ১৯৯৭-২০০১ প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা জুটি। সবথেকে বেশি সিনেমা করেছিল সেই সময়টাতেই। টলিউডের একটা মহলের দাবি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে টলিউডকে টেনেছিলেন এই বিখ্যাত জুটি। মোট ৪৫ টা মতো ছবি করেছিল। আর ততদিনে ইতিমধ্যে তারকা হয়ে গেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে ৩ টে, মিঠুন এর সঙ্গে ১ টা, এবং অভিষেক এরে সঙ্গে অন্তত ৮-১০ টা সুপার ডুপার হিট ছিল ঋতুর। এটাও নয় যে ঋতুপর্ণা প্রসেনজিতের সঙ্গে জুটি বেধেই অভিনেত্রী হয়েছে। আর তখন ঋতু ছাড়াও দেবশ্রী রায়, শতাব্দী রায়, ইন্দ্রাণী হালদার, ইন্দ্রাণী দত্ত, রচনা, রাইমা, প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী, স্বস্তিকা রাও কেউ কম কেউ বেশি কাজ করছিল। তারপর আবার লম্বা একটা বিরতি। ২০০২ -২০২০ সালের মধ্যে মাত্র দুটো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছে। আর এই পিরিয়ডটাতেও একে একে কোয়েল মল্লিক, শ্রাবন্তী, শুভশ্রী, মিমি, নুসরত, পাওলি, পার্নো, এরা প্রত্যেকেই যথেষ্ঠ সফল।
আরও পড়ুন-'ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা, টলিউডই একঘরে করেছিল আমাকে,' দাবি শ্রীলেখার...
শ্রীলেখার কথা মতো নায়িকা হতে গেলে গড ফাদার অথবা নায়ক, পরিচালক প্রোডিউসারদের সাথে প্রেম করতে হবে। আর এতগুলো নায়িকাও কি তাই করেছে।এই ভাবেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টলি তারকারা। শুধু প্রসেনজিৎই নয়, ঋতু নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়েই এতগুলো বছর টলি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে রয়েছেন।অনেকে আবার এও বলেছেন নিজের অযোগ্যতাকে ঢাকার জন্যই শ্রীলেখা পুরো টলি ইন্ডাস্ট্রির বদনাম করছে। শ্রীলেখা ভাল অভিনেত্রী। মেগা সিরিয়াল, কিছু কিছু ভাল চিত্রনাট্যের ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ঠিক আছে, কিন্তু তা বলে মেইনস্ট্রিম ছবিতে লিড রোলে নায়িকা হওয়ার যোগ্যতা ওর নেই আর কোনওদিনই ছিলনা বলেই দাবি করেছেন একাংশ। আর যদি থাকত তাহলে এত নতুন মুখ কিছুদিনের মধ্যেই সফল হল আর উনি কেন পারলেন না বলেও দাবি তুলেছেন। তাই অন্যেকে হিংসে না করে কারোর সম্বন্ধে কালি না ছিটিয়ে নিজের দিকে তাকানো উচিত। আর যেই সময়টার কথা শ্রীলেখা বলছেন সেই সময়টাতে পুরো বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে ধরে রেখেছিল ওই একটাই জুটি। আর প্রোডিউসার ব্যবসার ক্ষেত্রে সেখানেই টাকা ঢালবে যেখান থেকে তাদের লাভটা উঠে আসবে। একটা ছবি সুপারহিট মানেই তিনি নায়িকা আর পরের ছবিতে তাকেই নিতে হবে তেমনটা কখনওই নয়, বলে দাবি টলি ইন্ডাস্ট্রির একাংশের। সময় যত এগোচ্ছে ততই যেন পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিল তর হচ্ছে। একাধিক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। কী জবাব দেবেন এত প্রশ্নের, সেদিকেই তাকিয়ে ভক্তেরা।