সংক্ষিপ্ত
- নাগরিকত্ব, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা তরজা চলে আসছে
- দিল্লিতে শান্তির বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
- দিল্লির এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন নুসরত জাহান
- ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে
নাগরিকত্ব, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা তরজা চলে আসছে। এনআরসি, সিএএ নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ দিল্লি। কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বাধে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পাথরবৃষ্টি। মোটরসাইকেল থেকে বিভিন্ন জিনিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ব়্যাপিড ফোর্স আসে ঘটনাস্থালে। এছাড়া উদ্ধার করা হয় কার্তুজের খোলাও।
আরও পড়ুন-'আমরা আর যাই হোক মানুষ আর নই', দিল্লির হিংসায় টুইট মিমির...
এই অবস্থায় ফ্ল্যাগ মার্চ চালায় পুলিশ। শেষ কয়েকদিনের মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতি আনতে ভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সিএএ, এনআরসি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রত্যেকেই। অশান্ত দিল্লিতে শান্তির বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শান্তি ও একতা বজায় রাখা আমাদের প্রধান কর্তব্য। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শান্তি ফেরাতে গ্রাউন্ড জিরোয় দাঁড়িয়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন-রূপকথার দেশের গল্প এবার সেলুলয়েডে, ছোটপর্দায় আসতে চলেছে 'ক্ষীরের পুতুল'...
বুদ্ধিজীবি মহলের একাংশ এই নিয়ে আওয়াজ তুললেও শেষমেষ কোনও লাভ হয়নি। বলিউডেও অনুরাগ থেকে স্বরা আওয়াজ তুললেও সেখানেও একই অবস্থা। বাদ পড়েনি টলিউড। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে রবিঠাকুরেই ভরসা রেখেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। শুধু সৃজিতই নয়, পরমব্রত, অনির্বাণ, মিমি, নুসরত প্রত্যেকেই মুখ খুলেছেন। নুসরত জানিয়েছেন, 'আমাদের দেশ জ্বলছে, দয়া করে গুজব ছড়াবেন না '। দিল্লির এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন টলি অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান।
আরও পড়ুন-আন্দোলনের নামে তান্ডবে সায় নেই বাংলার শিল্পীদের, দিল্লি হিংসার কড়া নিন্দা...
ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে একাধিক স্কুল। এমনকী সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করায় মেট্রো স্টেশনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। আর কতদিন ধরে চলবে এই অবস্থা তা কারোরই জানা নেই। ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিনোদন জগতের একাংশরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবাদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতিবাদ ছাড়া আর কোনও পথ দেখছেন না বাংলার অভিনেতা থেকে গায়ক-পরিচালক-নাট্যশিল্পীরা।