সংক্ষিপ্ত

একাধিক সম্পর্কে জড়াতে যে বেশ ভালবাসতেন সাগ্নিক চক্রবর্তী, পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুর পর তা বেশ ভালই স্পষ্ট। তবে সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরিণতিই কি মৃত্যু তা নিয়েই বাড়ছে ধোঁয়াশা। পল্লবী দে-ই প্রথম নয়, আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিকের আরও এক বান্ধবী সৌমি মন্ডলেরও রহস্য মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময়েও আত্মহত্যা করেছিলেন সৌমি, তা ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সৌমির বাবা ও মা আত্মহত্যার কারণ হিসেবে সাগ্নিকের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। তার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনেই নাকি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৌমি। 

একাধিক সম্পর্কে জড়াতে যে বেশ ভালবাসতেন সাগ্নিক চক্রবর্তী, পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুর পর তা বেশ ভালই স্পষ্ট। তবে সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরিণতিই কি মৃত্যু তা নিয়েই বাড়ছে ধোঁয়াশা। পল্লবী দে-ই প্রথম নয়, আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিকের আরও এক বান্ধবী সৌমি মন্ডলেরও রহস্য মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময়েও আত্মহত্যা করেছিলেন সৌমি, তা ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সৌমির বাবা ও মা আত্মহত্যার কারণ হিসেবে সাগ্নিকের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। তার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনেই নাকি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৌমি। 

জানা গিয়েছে, ঠিক ৮ বছর আগে ২০১৪ সালে ১৮ মার্চ  অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সৌমি মন্ডলের। আর ৮ বছরের মাথাতেই ওই একই ভাবে মৃত্যু হল পল্লবীর। দুজনেরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। শুধু তাই নয় মৃত্যুর পর দুই পরিবারই অভিযোগ তুলেছে সাগ্নিকের উপর।  একদিকে যেমন  পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা। তেমনই সৌমির মা ইলা মন্ডল আজও বলেন, আমার মেয়ের জন্য সাগ্নিক দায়ী। মৃতার পরিবার সূত্রে খবর স্কুলে পড়ার সময় থেকে সৌমি ও সাগ্নিকের আলাপ। দুজনেই হাওড়ার জগাছা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। সৌমি অষ্টম শ্রেণিতে তখন পড়ত আর সাগ্নিক তখন নবম। সেই সময় থেকেই সৌমির সঙ্গে সম্পর্ক। নিয়মিত সৌমির বাড়িতে যাতায়াত ছিল সাগ্নিকের। তারপর ৩ বছর পর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সৌমি। সেই সময় সম্পর্ক না রাখতে চাওয়ায় রাস্তাঘাটে অশান্তি করত সাগ্নিক। দিনের পর দিন সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন সৌমি। তবে সেইসময় পুলিশের সহযোগিতা পায়নি। জগাছা থানায় পুলিশকে জানালেও পুলিশ সমর্থন করেননি।

 

 

সৌমির মৃত্যুর পর সাগ্নিকের সঙ্গে তাদের বাড়িতে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পল্লবীর মৃত্যুতে সাগ্নিকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ঐন্দ্রিলার। সৌমির মা জানিয়েছেন, মেয়ে যেদিন আত্মহত্যা করে সেদিনও সাগ্নিক এবং ঐন্দ্রিলা তাদের বাড়িতে আসে। পল্লবীর মৃত্যুতে ঐন্দ্রিলা যেভাবে দায়ি করছে যে ও সাগ্নিককে চেনে না এটা পুরোপুরি মিথ্যা। পল্লবীর পরিবারও দাবি করেছে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সাগ্নিকের ঘনিষ্ঠতা পল্লবীর মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। অভিনেত্রীর বাবা নীলু দে বলেন, নিয়মিত  আসা যাওয়া ছিল ঐন্দ্রিলার। মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে ঐন্দ্রিলা ও সাগ্নিকই দায়ী। তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় তা চাইছি। শুরু থেকেই পল্লবীর রহস্য মৃত্যুতে সন্দেহের তির তার  লিভ-ইন পার্টনারের দিকে।  গত কয়েকমাস ধরেই লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে পল্লবীর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল, তা জেরেই কি এই সিদ্ধান্ত নিলেন টলি অভিনেত্রী, উঠছে একাধিক প্রশ্ন। অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারকেও রাখা হয়েছে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতে। 

আরও পড়ুন-বিয়ের জল্পনার মাঝেই বোমা ফাটালেন অর্জুন, তবে কি মালাইকার সঙ্গে ছাদনাতলায় যেতে নারাজ অভিনেতা?

আরও পড়ুন-লাস্যে ভরা মাখনের মতো শরীরে উপচে পড়ছে যৌনতা, কিলার লুকে আগুন জ্বালালেন নুসরত

আরও পড়ুন-ঠান্ডা মাথায় ছক কষেই কি পল্লবীকে খুন করেছে সাগ্নিক? গভীর রাতের জেরায় উঠে এল নয়া তথ্য