সংক্ষিপ্ত
ইচ্ছাকৃত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে ক্রপ করে বাদ দিয়েছিলেন। তবে এবারে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ। সমস্ত ট্রোলের জবাব দিতে দেখা গেলো অভিনেতাকে।
ট্রোল যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না টলি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ট্রোলে বিদ্ধ হচ্ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিলো তিনি ইচ্ছাকৃত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে ক্রপ করে বাদ দিয়েছিলেন। তবে এবারে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ। সমস্ত ট্রোলের জবাব দিতে দেখা গেলো অভিনেতাকে।
কিছুদিন আগেই মাদার টেরেসার সঙ্গে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন প্রসেনজিৎ। এই ছবিতে মাদার টেরেসা ছাড়াও আরও একজন ছিলেন, যার হাতের কিছুটা দেখা যাচ্ছিল। এই ছবি পোস্ট করে অভিনেতা জানান, মাদার টেরেসার কথা শুনলে তাঁর যাবতীয় দুঃখ মুছে যায়। তাঁর আশীর্বাদ পেয়ে অভিনেতা ধন্য। প্রসেনজিৎ-এর এই ছবিকে ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। অনেকেই ওই ছবিটির সম্পূর্ণ অংশ পোস্ট করে অভিনেতাকে তুলোধোনা করেন। ছবিতে যে হাত দেখা যাচ্ছিল তা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর। অভিনেতা শাসক দলের দাক্ষিণ্য পেতেই নাকি জ্যোতি বসুর ছবি ক্রপ করে বাদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। ব্যপক ট্রোলের শিকার হতে হয় প্রসেনজিৎকে।
আরও পড়ুন- যশের সঙ্গে হাসপাতালে হবু মা নুসরত জাহান, নিখিলের সোশ্যাল মিডিয়ায় 'তুমি আমার হৃদয়ের মণি'
এবারে সমস্ত ট্রোলের জবাব দিলেন অভিনেতা নিজেই। সম্পূর্ণ ছবিটি পোস্ট করে অভিনেতা জানান, তিনি সাধারণত ট্রোলের জবাব দেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে যে মানুষদের নিয়ে কথা হচ্ছে তাঁরা আমার খুবই শ্রদ্ধেয়। অভিনেতা দাবি করেন তিনি কখনওই ছবিটি ক্রপ করেননি। ছবিটি ফরওয়ার্ড করা ছবি। মাদার টেরেসার জন্মদিন উপলক্ষে ছবিটি শেয়ার করেছিলেন তিনি। প্রসেনজিৎ আরও জানান, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিতের সঙ্গে ছবি শেয়ার করা মানেই যে সেই ব্যক্তি ওই পার্টির অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, এটা তিনি মানেন না।