সংক্ষিপ্ত
- মৃত মাকে ডেকে চলেছে ছোট্ট শিশু
- না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে
- খাবার না পেয়ে সন্তানকে হারালো বাবা
- একে একে মৃত্যুর উপত্যকা তৈরি হচ্ছে দেশে
- রুদ্রনীল ঘোষের কবিতায় চোখে জল নেটিজেনের
স্টেশনে শুয়ে মায়ের নিথর দেহ। বারে বারে শিশুটি ডেকে তোলার চেষ্টা করছে মা কে। প্রতিবারের মত এবারেও হয়তো ভাবছে, এই বোধহয় মা উঠল। উঠেই দুধ খাওয়াবে আমায়। কথাও বলতে শেখেনি বাচ্চাটা, সবে তো গুটি গুটি পায়ে এদিক ওদিক যাওয়া শিখেছি। মা যে না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছি সে আর বোঝার ক্ষমতা হয়নি তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত ভাইরাল হয়ে চলেছে ভিডিওটি। ভিডিওটা চলে উঠলেই স্ক্রল করে নিচের দিকে চলে যাচ্ছে সকলে। বেশিক্ষণ দেখার সাহস হয়নি তা কারও। তবুও এটাই সত্য। মহামারী, সাইক্লোন, সব মিলিয়ে দেশ এখন মৃত্যুর উপত্যকা। এই পরিস্থিতি নিয়ে কলম ধরলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
কবিতাটি শুনে সকলেরই চোখে জল। বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে সকল সাইবারবাসী। রুদ্রনীলের দাবি একটাই, প্রশ্নও একটাই, এই পরিস্থিতিতে সকলে কীকরে ভাল আছে, শান্তিতে আছে। আজ জামাই ষষ্ঠীর খাওয়া দাওয়া নিয়ে দেদার ভারচ্যুয়াল উৎসব চলছে চারিদিকে। আবার তারাই শেয়ার করছে মা-সন্তানের চোখে জল আনা ভিডিও। তবে এবার যে ভাবতে হবে। না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে হাজারও মানুষ। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ না করলে এরম পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া বড়ই কঠিন। তাই সকলকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য আর্জি জানিয়েছেন রুদ্রনীল।
আরও পড়ুনঃআতঙ্কের মধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সঙ্কট মোকাবিলায় রাজ্যের পাশে দাঁড়ালেন বাঙালি অভিনেত্রী
দেশের এই সাংঘাতিক অবস্থা, আমফান সাইক্লোনের পর বাংলার ভয়াবহ অবস্থাকে স্বাভাবিক করতে অনেকটা সময় লাগবে। তবে প্রত্যেকে যদি স্বার্থপর হয়ে নিজে খাব, নিজে ভাল থাকব এইটুকু ভাবে তাহলে বাংলার পরিস্থিতি কিংবা দেশের অবস্থা কোনওদিন ভাল হবে না। রুদ্রনীল কেবল চান সকলে যেন এগিয়ে আসে, পরিস্থিতির সামাল দিতে। না খেতে পেয়ে মারা যাওয়ার এই শোক আর নিতে পারছেন না রুদ্রনীল। রুদ্রনীলের এই কবিতার ভিডিও রিপোস্ট করেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় সহ অনেকেই।