সংক্ষিপ্ত
- দুই বন্ধুর একই সঙ্গে পথ চলা
- একজন আঁকতেন সেট, অন্যজন বুনতেন ছবি
- একই সঙ্গে দুজনে নিয়েছিলেন নয়া কায়দায় ছবি তৈরির পাঠ
- সেটে কেবল বংশীই ডাকতেন মানিক বলে
সময়টা চল্লিশের দশক। ভারতে ছবির মান ছিল তখন বেশ আলাদা। ছবির সেট এঁকেই তৈরি করা হত। বাজার হাট, বাড়ি, দুরে গাছপালা, মানুষ, জমায়েত, সবকিছুই তৈরি হত হাতে এঁকে। বাস্তবেই কোনও সেট তৈরি করা হত না। আর এই সেট এঁকেই সকলের নজর কাড়ছিলেন তখন বংশী চন্দ্রগুপ্ত, পেশা ছিলেন পেন্টার। চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পরিচিতি পেলেও মিলছিল না স্থায়ী রোজগারের পথ। এমনই সময় তাঁকে কাজ দিয়েছিলেন এস.ডি নারাং। কিন্তু সেই কাজ তিনি খুইয়ে ছিলেন কানন দেবীর জন্যে, তাঁর সামনেই করেছিলেন ধূমপান।
আরও পড়ুনঃ শেষের দিকে ২ মে গা ঢাকা দিতেন সত্যজিৎ রায়, কীভাবে নিজের জন্মদিন পালন করতেন পরিচালক
এরপর আবারও দিশেহারা। এমনই সময় সাক্ষাৎ হল সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। তখনও তাঁরা স্থির করেননি ছবি ঠিক কীভাবে উপস্থাপনা করা যায় দর্শকদের কাছে। চলছে নানা উত্থান পত্তন। চলচ্চিত্র জগতে চলছে ভাঙা গড়ার খেলা। এমনই সময় জঁ রেনোয়ার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান বংশী। তিনি প্রথম দেখেছিলেন কীভাবে বাস্তবেই তৈরি করা হয় সেট। সব কিছুই আসল, কোনও ছবি আঁকা সেট নয়। আর সেই পরিচালকের বাই সাইকেল থিপ দেখেই পথের পাঁচালী তৈরির ভাবনা আসে সত্যজিৎ রায়ের মাথায়। নেমে পড়লেন দুই শিল্পী একই সঙ্গে।
পথের পাঁচালী তৈরির সময় সত্যজিতের টিমে কেবল বংশীই ছিলেন একমাত্র অভিজ্ঞ মানুষ। দুজনেই তখন সবে শুরু করেছেন, একে অন্যের ওপর ভর করেই তৈরি করতে লাগলেন ছবি। একে একে তৈরি হল অপরাজিত, নায়ক, চারুলতার মত ছবি। দুজনের মধ্যে ছিল এক অনবদ্য মেলবন্ধন। একে অন্যের ভাষা বুঝতেন সহজেই। কে ঠিক কী চাইছে তা আলাদা করে বোঝাতে হত না কোনও দিন। তখনও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছাপ, কখনও আবার সেটে উঠে আসত বনেদি বাড়ি। তবে দুজনেই মনে করতেন, চারুলতা তাঁদের অন্যতম সৃষ্টি।
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ
সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল
কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস