সংক্ষিপ্ত

  • সাংবাদিক হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ' দম মারো দম' গার্ল জিনাত আমান
  • বিনোদনের জগতে আশা মাত্রই স্টাইল আর ফ্যাশনের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছিলেন তিনি
  • আর ডি বর্মনের সুরে ' দম মারো দম' গানে বলি ইতিহাসে আইকনিক হয়ে যায় জিনাত আমান
  • সবাইকে খুশি করতে গিয়ে নিজের দাম্পত্য জীবনেই সবচেয়ে অখুশী ছিলেন জিনাত
     

সাংবাদিক হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ' দম মারো দম' গার্ল জিনাত আমান। সেখান থেকে পথবদল করেই চলে আসেন মডেলিং-এর জগতে। ১৯৭০ সালে  মিস এশিয়া প্যাসিফিক-এ বিজয়ী হয়েছিলেন জিনাত । এরপরই পুরোপুরি ভাবে সাংবাদিকতা ছেড়ে চলে আসেন বি-টাউনে। বিনোদনের জগতে আশা মাত্রই স্টাইল আর ফ্যাশনের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছিলেন তিনি।

আরওপড়ুন-ফের মাধুরী ম্যাজিক ফিরে এল 'চোলি কি পিছে'-তে, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও...

কেরিয়ার শুরুতেই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল  তার অভিনীত দুই ছবি। তারপরেই ভেবেছিলেন অভিনয় ছেড়ে দিয়ে পরিবারের কাছেই ফিরে যাবেন তিনি। তারপর একটা ফোনকলেই বদলে গেল তার জীবন। ফের স্বমহিমায়  ফিরে এলেন 'হরে কৃষ্ণ হরে নাম' সিনেমায়। আর এই ছবিই যেন তাকে সুপারস্টারের আসনে বসিয়ে দিল। আর ডি বর্মনের সুরে ' দম মারো দম' গানে বলি ইতিহাসে আইকনিক হয়ে যায় জিনাত আমান। তারপর থেকে একের পর এক ছবি করে বলিউডে নিজের জায়গা পাকিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন-অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে কী মতামত বলিউড তারকাদের, কী বলছেন তারা...

বলিউডে সাফল্য এলেও হলিউডে মুখ থুবড়ে পড়েন জিনাত। হলিউডে নিজের জায়গা না করলেও বলিউডে  জিনাত যুগ বজায় ছিল দীর্ঘ কয়েক দশক।বলিউডি  নায়কিদের একঘেয়েমি ইমেজ ঝেড়ে ফেলে নতুন  ফ্যাশন স্টেটমেন্ট রচনা করেছিলেন জিনাত। তিনি দেখিয়েছিলেন পশ্চিমী পোশাকেও  অভিনেত্রী হওয়া যায়। নায়িকার পুরো সংজ্ঞাটাই তিনি যেন বদলে দিয়েছিলেন।  পুরোনো মিথ ঝেড়ে ফেলে তার আবেদনে পাগল হয়েছিল কয়েক প্রজন্মের দর্শক।  

সবাইকে খুশি করতে গিয়ে নিজের দাম্পত্য জীবনেই সবচেয়ে অখুশী ছিলেন জিনাত। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতেই বিয়ে করেছিলেন সঞ্জয় খানকে। সব জেনশুনেও নিজেই বেছ নিয়েছিলেন জীবনসঙ্গীকে। কিন্তু মোহ, ভুল, সবকিছু ভেঙ্গে গেল মাত্র ১ বছরের মধ্যে। মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাতেও ভুলতে পারেননি সঞ্জয়কে। তার মাসুলও দিতে হয়েছিল জিনাতকে। সম্পর্ক ভাঙনের পরও একদিন হোটেল ডেকে পাঠান সঞ্জয়। সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী এবং জনা কয়েক লোকের সামনেই চলেছিল নির্মম শারীরিক অত্যাচার তারা পাশাপাশি মারধর। মারের কারণেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় জিনাতের মুখ। মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার ডান চোখ। সারা জীবনের জন্য লেজি আই হয়ে যায় সেটি। জীবনের এই বিতর্কিত পর্বেও মুখে কুলুপ এটেছিলেন অভিনেত্রী। মাজহার খানের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ করার পর নির্যাতিত হয়েছেন অভিনেত্রী।  তারপরেও হাল ছাড়েননি জিনাত। নিজের অদম্য ইচ্ছা সাহসের পরিচয় দিয়ে তিনি আবারও ফিরতে চলেছেন বড় পর্দায়। আশুতোষ গোয়াড়িকরের 'পানিপথ' ছবিতে সাকিনা বেগমের ভূমিকায় দেখা যাবে বলিউড আইকন জিনাত আমানকে।