দাদাসাহেব ফালকে ফাউন্ডেশন পুরস্কারে সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হলেন হৃত্বিক রোশন সেরা ছবি হিসেবেও পুরস্কার জিতে নিয়েছে সুপার ৩০ সুপার ৩০ ছবিতে আনন্দ কুমারের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন হৃত্বিকের এই স্বীকৃতির খবর নিজেও শেয়ার করেছেন আনন্দ কুমার

চলচ্চিত্র জগতের সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব দাদাসাহেব ফালকে। তাঁর নামে তৈরি দাদাসাহেব ফালকে ফাউন্ডেশন সম্মানে ভূষিত হলেন হৃত্বিক রোশন। সুপার ৩০ ছবি-তে গণিতবিদ আনন্দ কুমারের চরিত্রে অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েেছেন হৃত্বিক। তাঁর সেই অসাধারণ অভিনয়কে সম্মান জানিয়েছে দাদাসাহেব ফালকে ফাউন্ডেশন। আর সেই কারণেই এই সম্মান। তবে, দাদাসাহেব ফালকে সম্মান যা ভারত সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে প্রদান করা হয় সেই সম্মানের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই। কারণ সেই দাদাসাহেব ফালকে সম্মান একজন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে তাঁর সারাজীবনের অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। যেমন ২০১৯ সালের দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। হৃত্বিক দাদাসাহেব ফালকের মতো ব্যক্তিত্বের নামাঙ্কিত সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ঠিকই, তবে সেই সম্মান কখনও অমিতাভ বচ্চনের পাওয়া সম্মানের সমতূল্য নয়।

আরও পড়ুন-অনাবৃত জোড়া পায়ের মাঝখানে নজর কাড়ছে ট্যাটু , বোল্ড লুকে ছবি পোস্ট প্রিয়াঙ্কার...


গত বছরেও সুপার হিটের তকমার শীর্ষে ছিলেন বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশন। পরিচালক বিকাশ বেহল পরিচালিত 'সুপার ৩০' ছবিতে আনন্দ কুমারের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ২০১৯ সালে বলিউডের বক্স অফিসে সারা জাগানো ছবিগুলির মধ্যে একটি এই ছবি। সারা দেশে সুপারহিটের তকমা পেয়েছে এই ছবি। এমনকী হলিউডও এই ছবি বানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দারিদ্রের মধ্যেই জীবন কেটেছে আনন্দের। পয়সার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি। টাকার জন্য নিজের বাবাকেও বাঁচাতে পারেননি আনন্দ। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একদিন প্রেমিকাকেও হারিয়ে ফেলেন আনন্দ। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। জীবনযুদ্ধে হার না মেনে নিজের লক্ষ্যে তিনি এগিয়ে গেছেন।হৃত্বিকের এই স্বীকৃতির খবর নিজেও শেয়ার করেছেন আনন্দ কুমার।

আরও পড়ুন-ফুটবল নিয়ে বেজায় ব্যস্ত দেব, প্রকাশ্যে এল কড়া অনুশীলনের ছবি...

Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন-এগিয়ে চলছে বাংলা ছবি 'দত্তা'-র শুটিং, শরৎচন্দ্র ফিরছেন আবারও এ শহরে...

আনন্দের এই গল্প এখন সকলেরই জানা। নিজের স্বপ্নপূরণ না হলেও যে অন্যের স্বপ্নপূরণ করা যায় তা শিখিয়েছেন আনন্দ। তার 'সুপার৩০' যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। প্রথম বছরেই ৩০ জনের মধ্যে ১৮ জন আইআইটি প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। আর থেমে থাকেননি তিনি। ২০১৭ সালে ৩০ জনের মধ্যে ৩০ জনই আইআইটি প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হয়। একজন সাধারণ মানুষ হয়ে অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনিই পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। হৃতিক রোশনও ফাটিয়ে অভিনয় করেছেন আনন্দের চরিত্রে। সমালোচকদেরও প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি।