সংক্ষিপ্ত
- ইন্ডাস্ট্রিতে ৫০ বছর পার করলেন শাহেনশাহ
- রেখা-জয়া-অমিতাভকে নিয়ে অনেক কথাই শোনা যায় বিটাউনে
- কিন্তু এর বাইরেও আরও এক মহিলার নামও উঠে আসে
- অমিতাভ নাকি এই মারাঠি মহিলাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন
ইন্ড্রাস্ট্রিতে নয় নয় করে ৫০টা বছর সসম্মানে এবং রাজকীয়ভাবে কাটালেন অমিতাভ বচ্চন। অক্টোবরেই শাহেনশাহর জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়েছিল শুভেচ্ছাবার্তা। আর এবার বলিউডে ৫০ বছর উপলক্ষ্যে বিগ-বি কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বি-টাউনে হইহই। স্মৃতির সরণী বেয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব গুঞ্জনের কথা যা জড়িয়ে রয়েছে অমিতাভের নামের সঙ্গে।
জয়া এবং রেখার সঙ্গে অমিতাভের কেমিস্ট্রি নিয়ে নানান কথা শোনা যায় কান পাতলেই। অনেকেরই মতে, জয়া এবং অমিতাভের মাঝে রেখা ঢুকে পড়লেও দাম্পত্য জীবনে এতোটুকু ভাঙন ধরতে দেননি এই দুই তারকা। অনেক উথাল-পাতাল হলেও আজও একই ফ্রেমে হাসি মুখে ধরা পড়ে দুটো মুখ। তবে শোনা যায়, ১৯৭৮ সালে একটি ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকারে রেখা, তার এবং অমিতাভের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন, যা জয়ার একেবারেই পছন্দ হয়নি। এরপরেই নাকি জয়া রেখার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে অমিতাভকে বাধা দিয়েছিলেন। আর দুই তারকার এক ফ্রেমে না আসার খবর চাপা থাকেনি। একটা চাপা টেনশন যে কোথাও কাজ করছে তা আঁচ করতেও সময় নেয়নি কেউ।
আরও পড়ুন- অভিনয় জগতে পঞ্চাশ বছর শাহেনশাহ-র, আবেগঘন টুইট ভক্ত অভিষেকের
তবে জয়া এবং রেখাকে নিয়ে বলিউডে প্রচুর গুঞ্জন শোনা গেলেও, অমিতাভ নাকি ভালোবেসেছিলেন অন্য এক মহিলাকে। বিশ্বাস না হলেও, বিনোদনের খবরে ভরপুর সংবাদ মাধ্যমে যারা একটু আধটু খোঁজ রাখেন তাদের চোখে এর আগে নিশ্চয় পড়েছে এই বিষয়টি। এমনই কিছু ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, অমিতাভ নাকি ভালোবেসেছিলেন এক মারাঠী মহিলাকে। দুজনের সম্পর্ক এতোটাই দূরে এগিয়ে গিয়েছিল যে বিয়েও ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে বিয়ে ভেঙে যায়। তবে এই ঘটনার সত্যাসত্য কতখানি যা যাচাই করা নয়।
আরও পড়ুন- 'ব্রা-লিট' কি অন্তর্বাস না অন্যকিছু, ইলিয়ানার ফ্যাশন মহিমায় পুরুষরা কাত
শোনা যায়, অমিতাভ বচ্চনের কলকাতা ছেড়ে মুম্বই চলে যাওয়ার পিছনে নাকি এই বিচ্ছেদই দায়ী ছিল। কলকাতায় অমিতাভ যে সংস্থায় কাজ করতেন সেই সংস্থাতেই বিজয় সিং নামে এক ব্যক্তি কাজ করতেন। পরবর্তী কালে সেই ব্যক্তিই নাকি এই তথ্য তুলে ধরে। দীনেশ কুমার নামে অমিতাভের প্রাক্তন এক সহকর্মী জানান, কাজের জায়গায় খুবই একনিষ্ঠ ছিলেন অমিতাভ। অমিতাভকে তার ইস্তফা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি তাঁর সিনিয়রকে জানান কারণটা একান্তই ব্যক্তিগত।