সংক্ষিপ্ত
- অফিস ক্যান্টিন থেকে নিয়মিত চুরি করে খেতেন
- এমন অভিযোগ উঠেছিল ভারতীয় ব্যাঙ্কারের বিরুদ্ধে
- ভারতীয় ব্যাঙ্কারের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ৯ কোটি
- অভিযুক্ত ব্যাঙ্কারকে সাসপেন্ড করল সিটিব্যাঙ্ক
ছোটবেলায় বাড়িতে কমবেশি চানাচুর, বিস্কুট, আচার চুরি করে খেয়ে থাকি আমরা সকলেই। কিন্তু তাই বলে অফিস ক্যান্টিনে চুরি! এমন কাজ করার আগে আমরা অনেকেই ভাবব। কিন্তু এমন কাজ করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন এক কোটিপতি ভারতীয় ব্যাঙ্কার।
অফিসের স্টাফ ক্যান্টিন থেকে স্যান্ডুইচ চুরি করে খেয়েছিলেন সিটিব্যাঙ্কের এক্সিকিউটিভ পরস শাহ। তার পরেই গতমাসে ৩১ বছরের পরসকে সাসপেন্ড করেছে সিটিগ্রুপ। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় সংস্থার হয়ে শেয়ার কেনাবেচার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা করাতে বাধা, করোনার উপসর্গ নিয়ে দেশে ফেরা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ
পূর্ব লন্ডনে সিটিগ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের ক্যান্টিন থেকে পরস নিয়মতি চুরি করে খেতেন। একাধিকবার এই ভারতীয় ব্যাঙ্কারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠছিল। তারপরেই ব্যাঙ্কের সিকিওরিটি, ট্রেডিং এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্টের কাজে পারদর্শী শাহকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিটিব্যাঙ্ক। সংস্থার বার্ষিক বোনাসের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
পরস শাহের লিঙ্কডিন প্রফাইল থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক হন ইউনির্ভাসিটি অব বাথ থেকে। সিটিব্যাঙ্কে যোগ দেওয়ার আগে এইচএসবিসি-র হয়ে সাত বছর কাজ করেছেন তিনি।
মাত্র দু'মাস আগেই সংস্থার পদোন্নতি হয় পরসের। তিনি ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় ক্রেডিটে ট্রেডিং বিভাগে সিটিব্যাঙ্কের প্রধান ছিলেন। তাঁর বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ছিল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি টাকা।
তবে পরস শাহই প্রথম কোটিপতি ব্যাঙ্কার নন যাকে চুরির দায়ে সাসপেন্ড হতে হল। এর আগে ২০১৬ সালে জাপানি ব্যাঙ্ক মিজুহো তাদের লন্ডন অফিসের এক উচ্চপদস্থ ব্যাঙ্কারকে সাসপেন্ড করেছিল। সহকর্মীর বাইসাইকেল থেকে পার্টস চুরি করার অভিযোগ উঠেছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।